বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বাঁচাতে শেষ চেষ্টায় নেমেছেন ব্রাজিল তারকা নেইমার জুনিয়র। ভয়াবহ হাঁটুর চোটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে থাকা এই ফুটবলার এবার ভরসা রাখছেন পরিচিত ড. মিরাকল-এর ওপর।
৩৩ বছর বয়সী নেইমার চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ছেড়ে নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যোগ দেন। কিন্তু ক্লাবে ফেরার পর থেকেই হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে তার হাঁটুর ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়—যা একজন ফুটবলারের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চোটগুলোর একটি।
চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার। কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে সান্তোস রেলিগেশনের ঝুঁকিতে পড়লে নেইমার সেই কথা শোনেননি। ঝুঁকি নিয়েই মাঠে নামেন তিনি—শেষ চার ম্যাচে করেন পাঁচটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট। তার এই পারফরম্যান্সই সান্তোসকে অবনমন থেকে রক্ষা করে।
এই পারফরম্যান্সের পরই ফের আলোচনায় নেইমার। অনেকেই মনে করছেন, আগামী গ্রীষ্মে কার্লো আনচেলত্তির নেতৃত্বে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে তাকে রাখা উচিত। বাস্তবতা হলো—এটাই হতে পারে নেইমারের শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট।
তবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জানা গেছে, শিগগিরই নেইমারের আবার একটি বড় অস্ত্রোপচার হতে পারে। আর এখানেই সামনে এসেছেন ড. এদুয়ার্দো সান্তোস—যিনি ফুটবল দুনিয়ায় ‘ড. মিরাকল’ নামে পরিচিত।
ব্রাজিলিয়ান এই ফিজিওথেরাপিস্ট ও স্পোর্টস সায়েন্টিস্ট পরিচিত কিছুটা ভিন্নধর্মী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য। তিনি আগে কাজ করেছেন চীনের শাংহাই এসআইপিজি, রাশিয়ার জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের ভিতেস আরনহেম ক্লাবে। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
এই মুহূর্তে তিনি ফুলহ্যাম ফরোয়ার্ড রদ্রিগো মুনিজকে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন। এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাথিউস কুনহা এবং মোনাকোর ডিফেন্ডার ভ্যান্ডারসনের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন