পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। এই জয়ে বড় অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন, তবে একইসঙ্গে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
ব্যাট-বল দুই বিভাগেই হতাশ করা সাকিব গড়েছেন এক লজ্জার রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টিতে এতদিন বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ডাক (শূন্য) নিয়ে আউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডটি ছিল সৌম্য সরকারের দখলে। টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সেই রেকর্ড এখন সাকিবের।
সবমিলিয়ে ৩২ বার তিনি টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ৩১টি ডাক নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌম্য আছেন দুইয়ে।
পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা লাহোরের হয়ে আহমেদ দানিয়ালের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি।
পরবর্তীতে বল হাতে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। লাহোরের পরের ম্যাচটি ছিল করাচি কিংসের বিপক্ষে। সেদিন বল হাতে ১ ওভারে ৪ রানে ১ উইকেট নিলেও, সাকিবের ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি।
সাকিব যোগ দেওয়ার পর থেকে লাহোরের প্রতিটি ম্যাচই ছিল ‘ডু অর ডাই’। তবে তিন ম্যাচে টানা জিতেই তারা ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গতকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শাহিন আফ্রিদির দল মুখোমুখি হয় ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের।
লাহোর ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান তোলে। এই বড় ইনিংসে সাকিবের কোনো অবদান ছিল না। উল্টো ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই টাইমাল মিলসের বলে ক্যাচ আউট হন। ম্যাচে বল হাতেও সাকিব কার্যকরী ছিলেন না। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশূন্য।
এদিকে সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সুবাদে ডাকের রেকর্ডে সৌম্য সরকারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ডাক মারার তালিকায় সাকিব আছেন আট নম্বরে এবং সৌম্য আছেন নয় নম্বরে।
সর্বোচ্চ ৪৮টি ডাক নিয়ে সবার ওপরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার সুনীল নারিন।
এ ছাড়া সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সংস্করণে সর্বোচ্চ শূন্য রানে আউট হওয়াদের তালিকায় আছে বেশ কয়েকটি বড় নাম। শুরুর দিকে থাকা এসব ক্রিকেটার হচ্ছেন- রশিদ খান (৪৫), অ্যালেক্স হেলস (৪৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩৫), রাইলি রুশো (৩৩), পল স্টার্লিং (৩৩) ও জেসন রয় (৩৩)।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে ২২ বার শূন্য রানে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস, ২০ বার তামিম ইকবাল ও ১৯ বার মুশফিকুর রহিম।