ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

ক্রিকেটের ইতিহাসে যা ঘটেছিল আজকের এই দিনে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০২:২১ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ (গ্রাফিক্স)

ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, ২৯ জুলাই ছিলো নানা রোমাঞ্চকর, তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। একাধিক কীর্তি এবং বিস্ময়কর পারফরম্যান্সের সাক্ষী থেকেছে এই দিনটি। 

চলুন ফিরে দেখা যাক আজকের দিনে ঘটে যাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটীয় মুহূর্ত।

২০০৬: ক্রিকেট ইতিহাসের সর্ববৃহৎ টেস্ট জুটি

আজকের এদিনে শ্রীলঙ্কা কলম্বোতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গড়েন সর্ববৃহৎ টেস্ট জুটির ইতিহাস। মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা গড়েন ৬২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি—টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। 

জয়াবর্ধনে খেলেন ৩৭৪ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস, যা ছিল শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরি। সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে আসে ২৮৭ রান। 

তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে ব্যাট করে তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। পরে মুত্তিয়া মুরালিধরন ১০ উইকেট নিয়ে ইনিংস ও ১৫৩ রানে জয় নিশ্চিত করেন।

 ২০০১: ইতিহাস গড়লেন মাসাকাদজা

মাত্র ১৭ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি করেন ১১৯ রান। 

দীর্ঘ ৩৮৮ মিনিট ও ৩১৬ বলের এক ধৈর্যপূর্ণ ইনিংস ছিল এটি। পরবর্তীতে মোহাম্মদ আশরাফুলের আগমনের আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া তৃতীয় ব্যাটার।

 ১৯৯৬: লর্ডসে ইংল্যান্ডের ভয়াবহ ধস

পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্টের শেষ দিনে ইংল্যান্ডের অবস্থা ছিল তুলনামূলক নিরাপদ। কিন্তু ওদনি দুপুরের পর মাইক আথারটনের উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে ধস। 

৭ উইকেট হারায় মাত্র ১৮ রানে! মুশতাক আহমেদ ও ওয়াকার ইউনুস ছিলেন সেই ধ্বংসযজ্ঞের কারিগর।

 ২০১৭: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের দাপুটে জয়

গলে ভারতের ৩০৪ রানের বড় জয় হয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। শিখর ধাওয়ান (১৯০) ও পূজারা (১৫৩)-এর বড় ইনিংস এবং বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়। 

ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংই করতে পারেননি।

 ১৯৮০: উইলিসের স্বরণীয় ইনিংস

ওভালে উইন্ডিজের বিপক্ষে যখন ইংল্যান্ড ৯২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল, তখন ব্যাট হাতে নামেন মূলত বোলার বব উইলিস। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ বাঁচিয়ে দেন, আর সেঞ্চুরি পান পিটার উইলি।

 ১৯৭২: ৩৯ বছর পর ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ রক্ষা

হেডিংলিতে অ্যাশেজ টেস্টে ৯ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। এদিন স্পিনার ডেরেক আন্ডারউড ১০ উইকেট নেন। অলরাউন্ডার রে ইলিংওয়ার্থ ও জন স্নো-র জুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 ২০০২: অভিষেক বলেই উইকেট নেন গামাগে

শ্রীলঙ্কার চামিলা গামাগে অভিষেক টেস্টেই প্রথম বলেই নেন উইকেট, মোহাম্মদ আশরাফুলকে বোল্ড করে। এদিনের ম্যাচে সে তিন উইকেট পান। যদিও এরপর ক্যারিয়ারে আর মাত্র একটি টেস্ট খেলেছেন।

 ২০১৮: স্মৃতি মন্ধনার ‘দ্রুততম ফিফটি’

নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্পর্শ করেন ভারতের স্মৃতি মন্ধনা। কিয়া সুপার লিগে ১৮ বলে ফিফটি করেন, যা সে সময় সোফি ডিভাইনের রেকর্ডের সমান।

ক্রিকেটের পাতায় এমনসব ঘটনা লুকিয়ে থাকে যা কেবল পরিসংখ্যান নয়, ইতিহাসেরও গল্প হয়ে ওঠে। আজকের দিনেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এসব ঘটনা নতুন করে অনুপ্রেরণা যোগায়।