ঢাকা সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

যেভাবে বিরাট কোহলি ও এবির ফোন পেলেন মুদি দোকানি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ছত্তিশগড়ের মুদি দোকানদার মানিশকে বিরাট কোহলি এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স ফোন করেছেন। এমন খবর শুনে অবাক হচ্ছেন? আসলে এটি কোনো অবিশ্বাস্য ঘটনা নয়, বরং সত্য।

ঘটনার সূত্রপাত ভারতের ছত্তিশগড়ের মাদাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সি মানিশ বিসিকে ঘিরে। পেশায় তিনি একজন সাধারণ মুদি দোকানদার। মাসখানেক আগে তিনি একটি নতুন সিম কার্ড কেনেন।

সিমটি চালু করার পর থেকেই বিভিন্ন ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ফোন পেতে শুরু করেন তিনি। ফোন করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকারাও। সবাই তাকে ‘রজত’ বলে ডাকছিলেন।

প্রথম দিকে মানিশ এবং তার বন্ধুরা এটিকে মজা ভেবেছিলেন। এমনকি সিমটি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করার পর তার প্রোফাইল ছবিতে হঠাৎ ভারতীয় ক্রিকেটার রজত পাতিদারের ছবি দেখা যায়।

তারা ভেবেছিলেন এটি কোনো ত্রুটির কারণে দেখা গেছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে তারা এভাবে ফোন রিসিভ করেন এবং মজার ছলে কথাও বলেন।

যেভাবে রজত পাতিদারের নম্বর পেলেন মানিশ

গারিয়াবাদ জেলার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ নেহা সিনহা জানান, টেলিকম কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো নম্বর যদি ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত থাকে, তাহলে সেটি নতুন কোনো গ্রাহককে বরাদ্দ করা হয়।

ভারতীয় ক্রিকেটার রজত পাতিদারের নম্বরটিও দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত ছিল। ফলে সেই নম্বরটিই ঘটনাক্রমে মানিশের কাছে চলে আসে।

যখন রজত পাতিদার তার পুরোনো নম্বরটি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হন, তখন তিনি মধ্যপ্রদেশের সাইবার সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর গারিয়াবাদ পুলিশ এই বিষয়টি তদন্ত করে এবং মানিশের কাছ থেকে সিমটি উদ্ধার করে রজতকে ফিরিয়ে দেয়।

ক্রিকেটপ্রেমী মানিশ এবং তার বন্ধু খেমরাজ এই ঘটনাকে নিজেদের জীবনের এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেছেন। তারা আশাবাদী যে, একদিন রজত পাতিদার তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

রজত পাতিদার ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলেন এবং আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক।