ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

তিন সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
৪৩১ রানের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারের পর শেষ ওয়ানডেতে জ্বলে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। রবিবার সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে পাহাড়সমান ৪৩১ রানের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাকয়ের এই মাঠেই টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের উপর চড়াও হন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ।

এই দুইজনের ব্যাটে ভর করেই ২৫০ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ট্রাভিস হেড ১০৩ বলে ১৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৪২ রান করে আউট হন। তবে ট্রাভিস হেডের বিদায়ের পরেও রানের গতি একটুও কমেনি।

নিজের ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রেখে ১০০ রান করার পর আউট হন মিচেল মার্শ। এর মধ্যে ১০৬ বলের ইনিংসে মার্শ মেরেছেন ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা।

এরপরেই ব্যাটিংয়ে এসে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি মাত্র ৫৫ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১১৮ রানের এক অপরাজিত ইনিংস খেলেন।

গ্রিনের পাশে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অ্যালেক্স ক্যারিও ৩৭ বলে ৫০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবার তাদের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দল হিসেবে এই রেকর্ড করেছিল।

সেই ম্যাচে হাশিম আমলা অপরাজিত ১৫৩* ও রিলি রুশো ১২৮ রান করেছিলেন। এর পরে এবি ডি ভিলিয়ার্স ৪৪ বলে ১৪৯ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি মাত্র ৪৭ বলে তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন, যা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।

এর আগে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

৪৩১ রানের এই বিশাল স্কোর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর। এর আগে ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

সেই ম্যাচটিও বেশ রোমাঞ্চকর ছিল। শেষ বলে জয় তুলে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।