ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই) দিন দিন পরিণত হচ্ছে বিশাল আর্থিক শক্তিতে। সংস্থাটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের ব্যাংক ব্যালান্স দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপি।
যা ২০১৯ সালের ৬ হাজার ৫৯ কোটি রুপি থেকে প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অথচ এই সময়ের মধ্যে রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকেও বিপুল অঙ্কের রুপি বিতরণ করেছে বোর্ড। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিসিসিআই তাদের রিজার্ভে যোগ করেছে প্রায় ১৪ হাজার ৬২৭ কোটি রুপি।
শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই বেড়েছে ৪ হাজার ১৯৩ কোটি রুপি। সাধারণ তহবিল ২০১৯ সালের ৩ হাজার ৯০৬ কোটি রুপি থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৮৮ কোটি রুপি।
এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর বাবদ প্রভিশন রাখা হয়েছে ৩ হাজার ১৫০ কোটি রুপি।
আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত চিত্র
বিভাগ ২০২২-২৩ ২০২৩-২৪ পরিবর্তন %পরিবর্তন
ব্যাংক ব্যালান্স ১৬,৪৯৩ কোটি রুপি ২০,৬৮৬ কোটি রুপি +৪,১৯৩ +২৫.৪%
সাধারণ তহবিল ৭,৪০৮ কোটি রুপি ৭,৯৮৮ কোটি রুপি +৫৮০ +৭.৮%
মিডিয়া রাইটস ২৫২৪.৮০ কোটি রুপি ৮১৩.১৪ কোটি রুপি -১৭১১.৬৬ -৬৭.৮%
বিনিয়োগ আয় ৫৩৩.০৫ কোটি রুপি ৯৮৬.৪৬ কোটি রুপি +৪৫৩.৪০ +৮৫.১%
উদ্বৃত্ত অর্থ ১১৬৭.৯৯ কোটি রুপি ১৬২৩.০৮ কোটি রুপি +৪৫৫.০৯ +৩৯.০%
আয়ের উৎস ও প্রবৃদ্ধি
আইপিএল ২০২৩-এর উদ্বৃত্ত এবং আইসিসি থেকে পাওয়া অর্থ বড় ভূমিকা রেখেছে।
ব্যাংক আমানতের সুদ থেকে আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮৬.৪৫ কোটি রুপি।
তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম থাকার কারণে মিডিয়া রাইটস থেকে আয় কমেছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।
অবকাঠামো ও খেলোয়াড় সহায়তা
দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ করছে বিসিসিআই। এর মধ্যে রয়েছে:
১,২০০ কোটি রুপি অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলে।
৩৫০ কোটি রুপি প্লাটিনাম জুবিলি কল্যাণ তহবিলে।
৫০০ কোটি রুপি ক্রিকেট উন্নয়ন তহবিলে।
এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে দিয়েছে ১,৯৯০.১৮ কোটি রুপি। আগামী অর্থবছরে এই অঙ্ক আরও বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২,০১৩.৯৭ কোটি রুপি।