ঢাকা শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শ্রীলঙ্কার জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৩০ এএম
৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ছবি- সংগৃহীত

এশিয়া কাপের প্রথম পর্বের বি গুরুপের শেষ ম্যাচে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। 

শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তানের ৬ উইকেটে পরাজয়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়েছে।

এই রোমাঞ্চকর ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে লঙ্কানরা যেমন নিজেদের জায়গা পাকা করেছে, তেমনি গ্রুপ 'বি' থেকে বাংলাদেশেরও পথ খুলে দিয়েছে।

এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। তবে তাদের শুরুটা ভালো হলেও শ্রীলঙ্কার বোলাররা দ্রুত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান মোহাম্মদ নবীর ব্যাট থেকে, শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান ১৬৯ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়ে তোলে। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে তুশারা একাই ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন শুরুটা খারাপ হয়নি আফগানদের। প্রথম দুই ওভারেই দলের খাতায় ২৬ রান যোগ করেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ আতল। 

তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে জোড়া উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে ফেরান তুশারা। ৮ বলে ১৪ রান করে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন গুরবাজ। ৩ বলে ১ রান করে লাইন মিস করে বোল্ড হন করিম জানাত। 


 
এক ওভার পর আক্রমণে এসে আরেক ওপেনার আতলের উইকেটও তুলে নেন তুশারা। ১৪ বলে ১৮ রান করে লঙ্কান পেসারের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন আতল। দলীয় ৬৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানরা। 

১৬ বলে ৯ রান করে দুশমন্থ চামিরার বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন দারউইশ রাসুলি। ১২তম ওভারে দাসুন শানাকার বলে ইনসাইড এজ হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বোল্ড হলে বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। 

৪ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার। তিন বল পর দুনিথ ভেল্লালাগেকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম জাদরান। ২৭ বলে ২৪ রানে থামেন এ ব্যাটার।

চাপের মুহূর্তে ক্রিজে নেমে মোহাম্মদ নবীর সঙ্গ নিয়ে দলকে পথ দেখান অধিনায়ক রশিদ খান। ৩৫ রানে জুটিতে পার করে দেন শতরান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রশিদকে বোল্ড করে সে জুটি ভাঙেন তুশারা। 

২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে দলীয় ১১৪ রানে আউট হন আফগান অধিনায়ক। পরের গল্পটা সাজান নবী একাই।