যতই ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন, ততই বাড়ছে নাটকীয়তা। মঙ্গলবার রাতে ক্লাবগুলোর নির্বাচন বয়কটের গুঞ্জনের পর আজ সেই আশঙ্কা সত্যি হলো। সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে সরকারের একটি গোষ্ঠীর নগ্ন হস্তক্ষেপের অভিযোগ সামনে এনেছেন এক্সিউম ক্রিকেটার্স থেকে পরিচালক পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা ইসরাফিল খসরু।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। আমাদের পুরো বক্তব্য শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল অস্বচ্ছ। জেলা-বিভাগের কাউন্সিলরদের ফোন করে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। এবং আবার ১৫টি ক্লাব নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা দেখছি।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচন ম্যানুফেকাচার করা হচ্ছে, যা নতুন বাংলাদেশে কাম্য নয়। নৈতিক জায়গা থেকেই তারা এই অবস্থান নিয়েছেন।
সরকারের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমঝোতা হয় যৌক্তিকতা ও সমতার ভিত্তিতে। ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ না থাকলে সমঝোতার কোনো প্রসঙ্গ আসে না।
এদিকে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল আজ সকালে বিসিবির কার্যালয়ে হাজির হয়ে দুপুর নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
তামিম ছাড়াও আজ সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বাবু ও সৈয়দ বোরহানুল ইসলামের মতো প্রভাবশালী প্রার্থীরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।