ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

ফুটবল বিশ্বকাপে খেলতে হলে যা করতে হবে বাংলাদেশকে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ছবি- সংগৃহীত

আর মাত্র আট মাস পর, ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, পার্থ ও গোল্ডকোস্টে বসবে নারী এশিয়া কাপের আসর। এই টুর্নামেন্ট কেবল মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নয়, বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের জন্য এটি ২০২৭ ফিফা নারী বিশ্বকাপ। এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করার এক সুবর্ণ সুযোগ। 

বাঘিনীদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণের জন্য এশিয়া কাপে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল 'বি' গ্রুপে পড়েছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী চীন, উত্তর কোরিয়া এবং উজবেকিস্তান। 

গ্রুপের সূচি অনুযায়ী, ৩ মার্চ সিডনিতে চীনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ, এরপর ৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষেও সিডনিতে খেলবে। ৯ মার্চ শেষ গ্রুপ ম্যাচটি উজবেকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে অনুষ্ঠিত হবে।

এই গ্রুপে চীন ও উত্তর কোরিয়া ফুটবল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল। তাই বাংলাদেশকে মূলত উজবেকিস্তানকে হারানোর দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। 

উজবেকিস্তানকে হারাতে পারলে এবং গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে বাংলাদেশ তৃতীয় সেরা দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। এশিয়া কাপের ফরম্যাট অনুযায়ী, তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপের সাথে সেরা দুই তৃতীয় স্থান অধিকারী দলও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে।

কোয়ার্টার ফাইনালই বিশ্বকাপের প্রবেশদ্বার

নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার জন্য বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো এশিয়া কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। এখানে জিতলেই সরাসরি মিলবে ২০২৭ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের টিকিট। 

কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী চারটি দল সেমিফাইনালে খেলার পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেবে।

যদি কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেও যায়, তবুও স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে না। কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত চারটি দলের মধ্যে দুটি প্লে-ইন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। 

এই প্লে-ইন ম্যাচে জয়ী দুটি দলও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। এমনকি, সেই ম্যাচের পরাজিত দলগুলোও আন্তঃমহাদেশীয় বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপে ওঠার সুযোগ পাবে।

অতিরিক্ত পাওনা, অলিম্পিকের হাতছানি

বিশ্বকাপের পাশাপাশি এশিয়া কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো মানেই ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকেও খেলার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।