৪০ বছর বয়সেও যিনি খেলছেন ইউরোপীয় মানের চেয়েও বেশি প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল—তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরের সঙ্গে সম্প্রতি নতুন করে চুক্তি করে আরও ২ বছর খেলতে প্রস্তুত এই পর্তুগিজ তারকা।
তবে অনিবার্যভাবে একদিন বিদায় নিতে হবে সবুজ গালিচা থেকে। প্রশ্ন উঠছে—তারপর কী? কি তিনি কোচ হবেন? পর্তুগালের ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের ডাগআউটে কি দেখা যাবে ‘সিআর৭’-কে?
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক সহকারী কোচ রেনে মিউলেনস্টিন মনে করেন, রোনালদো চাইলে নিঃসন্দেহে সফল কোচ হতে পারেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি রোনালদো কোচিংয়ে আসতে চায়, তবে তার প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা, সাফল্যের ক্ষুধা এবং শৃঙ্খলা তাকে সফল করবেই। হয়তো প্রথমে আল-নাসরের মতো কোনো ক্লাব দিয়ে শুরু করবে, তবে পরবর্তীতে পর্তুগাল জাতীয় দল পরিচালনার সম্ভাবনাও একদম বাস্তব।
যদিও রোনালদো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেননি, তবে তার দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নেতৃত্বের ইতিহাস এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে জাতীয় দলের কোচ হতে হলে কেবল ফুটবল জানা যথেষ্ট নয়। দরকার সাংগঠনিক দক্ষতা, টেকনিক্যাল স্টাফের সঙ্গে সঠিক সমন্বয় এবং পরিস্থিতি মূল্যায়নের ক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোনালদো যদি কোচ হন, তাহলে তাকে সহায়ক একটি অভিজ্ঞ টিম তৈরি করতে হবে যারা কৌশলগত দিকগুলো সামলাবে।
মিউলেনস্টিন আরও একটি সম্ভাবনার কথা তুলেছেন—রোনালদো ভবিষ্যতে কোনো ফুটবল ক্লাবের মালিক বা বিনিয়োগকারীও হতে পারেন। ডেভিড বেকহ্যাম, রায়ান রেনল্ডসের মতো তারকারা যেমন ক্লাব মালিকানায় নেমেছেন, তেমনি রোনালদোও বোর্ডরুমে বসে ক্লাব পরিচালনার কাজ শুরু করতে পারেন।
রোনালদো হয়তো এখনো মাঠে খেলছেন, গোল করছেন, ট্রফি জিতছেন। কিন্তু তিনি ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন বহু আগেই—জরুরি সিদ্ধান্ত, সময়মতো বিশ্রাম, ও ব্যবসা-বিনিয়োগে চোখ রাখার মাধ্যমে।
যদি তিনি কোচিং ক্যারিয়ারে নামেন, তবে সেটা হবে আরও একটি অধ্যায় যেখানে তিনি নিজেকে কিংবদন্তির কাতারে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
আবার যদি বেছে নেন ক্লাব মালিকানার পথ, তাহলেও নিশ্চিতভাবেই ফুটবলের বাইরে থেকেও তিনি খেলার অংশ হয়ে থাকবেন।