২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ড্র আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । তিনি আরও জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
ওভাল অফিসে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, পুতিন সেখানে উপস্থিত হতে চান, তবে তার অংশগ্রহণ ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার সফলতার ওপর নির্ভর করবে।
গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ট্রাম্প এটিকে ‘বৃহৎ অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেন।
এই সংবাদ সম্মেলনের সময় একটি বিশেষ মুহূর্ত তৈরি হয় যখন ইনফান্তিনো ট্রাম্পকে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফিটি ধরে দেখার সুযোগ দেন। সাধারণত, এই ট্রফিটি কেবল রাষ্ট্রপ্রধান, ফিফা কর্মকর্তা এবং বিজয়ী খেলোয়াড়দের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
ট্রাম্প কৌতুক করে বলেন, আমি কি এটা রাখতে পারি? এটা তো সোনার একটি সুন্দর জিনিস।
পরে ইনফান্তিনো ট্রাম্পকে ফাইনাল ম্যাচের একটি প্রতীকী টিকিটও উপহার দেন—রো ১, সিট ১—যা ১৯ জুলাই, ২০২৬-এ নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ হবে প্রথমবারের মতো ৪৮টি দল নিয়ে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্ট, যা আগের ৩২ দলের ফরম্যাট থেকে সম্প্রসারিত। এটি যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো, যা ইতিহাসে প্রথম তিন দেশের একসাথে আয়োজিত বিশ্বকাপ।
মোট ম্যাচ: ১০৪টি
আয়োজক শহর: ১৬টি (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো জুড়ে)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভেন্যু: মেটলাইফ স্টেডিয়াম (নিউ জার্সি), এটিঅ্যান্ডটি স্টেডিয়াম (টেক্সাস), রোজ বোল (ক্যালিফোর্নিয়া)
কানাডার ভেন্যু: টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভার
মেক্সিকোর ভেন্যু: মেক্সিকো সিটি, গ্যাদালাজারা ও মন্টেরে
ফাইনাল: ১৯ জুলাই, ২০২৬, মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
এই বিশ্বকাপটি উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ হবে। এর আগে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল।