ইংলিশ ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেন্ট জেমস পার্কে ফিরে এলেন মারকাস রাশফোর্ড। তবে তার প্রত্যাবর্তনটা মন ভেঙে দিয়েছে স্বাগতিকদের।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার ইংল্যান্ডে ফিরেই নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে বার্সাকে ২-১ গোলের জয় এনে দিলেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে এটি বার্সেলোনার দারুণ এক শুরু। বিশেষ করে রাশফোর্ডের জন্য ম্যাচটি আরও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বার্সেলোনার জার্সিতে এটি ছিল তার প্রথম গোল, এবং তা এসেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকের ম্যাচেই।
হ্যারি কেইনের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে তিনি দেশের বাইরের কোনো ক্লাবের হয়ে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের বিপক্ষে জোড়া গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে বিরতির পর। ৫৮ মিনিটে জুলের কুন্দের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে প্রথম গোলটি করেন রাশফোর্ড। তার এই বুলেট গতির হেড রুখে দেওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না নিউক্যাসল গোলকিপারের।
এর মাত্র ১০ মিনিট পর, ২০ গজ দূর থেকে রাশফোর্ডের নেওয়া শটটি ছিল আরও নিখুঁত। ধারাভাষ্যকাররা এটিকে ‘মিসাইল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি এবারের মৌসুমের সেরা গোলের একটি হতে পারে।
রিপ্লেতে দেখা যায়, নিউক্যাসল গোলকিপার নিক পোপ ঝাঁপ দিয়েও শটটি আটকাতে ব্যর্থ হন।
র্যাশফোর্ডের এই পারফরম্যান্স মাঠে উপস্থিত ইংল্যান্ডের কোচ থমাস টুখেলকে নিশ্চয়ই খুশি করেছে। ২০২২-২৩ মৌসুমের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সেই রাশফোর্ডের ঝলক যেন আবার ফিরে এসেছে।
যদিও প্রথমার্ধে চারটি শট নিয়েও তিনি গোল করতে পারেননি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তার দুটি গোলই বার্সেলোনাকে এনে দেয় মূল্যবান তিন পয়েন্ট।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে অ্যান্থনি গর্ডন একটি গোল করে স্বাগতিক সমর্থকদের মনে আশা জাগিয়ে তুললেও, যোগ করা ৭ মিনিটে সমতাসূচক গোলের দেখা আর পায়নি নিউক্যাসল। ফলে ঘরের মাঠে হার দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রত্যাবর্তন হলো তাদের।
৮২ মিনিটে দানি ওলমোর বদলি হিসেবে যখন রাশফোর্ড মাঠ ছাড়েন, তখন বার্সেলোনার সমর্থকরা তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রায় চার বছর পর গোল পেলেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।