ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে শুরু হওয়া ট্রাইব্যুনাল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। শুরুতে ১১৫টি অভিযোগ থাকলেও, তা এখন ১৩০টির বেশি ছাড়িয়ে গেছে।
প্রিমিয়ার লিগের পক্ষ থেকে আনা এই অভিযোগগুলো ম্যানচেস্টার সিটির আর্থিক প্রতিবেদন, খেলোয়াড়দের বেতন এবং ক্লাব পরিচালনায় লাভজনকতা সম্পর্কিত নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয় জড়িত।
দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা এই বিচার প্রক্রিয়ার গতি কেন এত ধীর, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আইনি বিশ্লেষকদের মতে, এমন জটিল কর্পোরেট মামলায় এটি অস্বাভাবিক নয়।
কারণ, অভিযোগগুলোর প্রমাণ যাচাই করতে এবং প্রতিটি আর্থিক নথিপত্র পরীক্ষা করতে প্রচুর সময় লাগে। প্রিমিয়ার লিগ এরই মধ্যে এই আইনি লড়াইয়ে কোটি কোটি পাউন্ড খরচ করেছে।
ম্যানচেস্টার সিটি ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে, ফাঁস হওয়া কিছু ইমেইলে ক্লাবের চেয়ারম্যান খালদুন আল-মুবারাক-এর মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা চাইলে এই আইনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম।
তিনি বলেছিলেন, ক্লাবটি চাইলে আগামী ১০ বছর ধরে ৫০ জন সেরা আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে পারবে।
এই মামলার দীর্ঘসূত্রতা শুধু ম্যানচেস্টার সিটিকে প্রভাবিত করছে না। অন্যান্য ক্লাব, যেমন - নটিংহ্যাম ফরেস্ট, এভারটন, এবং চেলসিও একই ধরনের আর্থিক নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
এই লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলার রায় যাই হোক না কেন, তা ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান কার্যক্রমে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। বরং, প্রিমিয়ার লিগ একটি সমঝোতায় আসতে আগ্রহী হতে পারে, যাতে এই দীর্ঘমেয়াদী আইনি ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কারণ, এই আইনি লড়াই ফুটবলের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার চেয়ে ক্লাবের সুনাম এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমকেই বেশি প্রভাবিত করছে।