লিওনেল মেসির আগমন যেন ইন্টার মিয়ামি ক্লাবের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। এই আর্জেন্টাইন জাদুকরের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে ভর করে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটি।
কনফারেন্স ফাইনালে এফসি সিনসিনাতিকে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পা রাখল টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা। এই জয়ে পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল ৩৮ বছর বয়সী মেসির একক আধিপত্য। দলের সবকটি গোলের সঙ্গেই প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল তার নাম—একটি নিজে করেছেন, বাকি তিনটিতেই তিনি অ্যাসিস্ট করেছেন।
ওহাইও'র টিকিউএল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৯ মিনিটেই দলকে দারুণ এক হেডে এগিয়ে দেন মেসি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মিয়ামি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যায় 'প্লে-মেকার' মেসির আসল ঝলক। গোলদাতা নয়, এবার তিনি যেন হয়ে ওঠেন দলের মূল নিয়ন্ত্রক। মাতেও সিলভেত্তির একটি গোল এবং তাদেও আলেন্দের করা জোড়া গোল—তিনটি গোলেরই উৎস ছিলেন মেসি।
এই তিন গোলেই সরাসরি অ্যাসিস্ট করে তিনি বুঝিয়ে দেন, কেন তাকে সর্বকালের সেরাদের একজন বলা হয়। প্লে-অফ পর্বে এখন পর্যন্ত গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মেসির অবিশ্বাস্য অবদান ১২টি।
ইন্টার মিয়ামির জন্য এই ফাইনাল যাত্রাটি রূপকথার চেয়ে কম কিছু নয়। মেসি আসার আগের দুই মৌসুমে দলটির জন্য প্লে-অফে ওঠাই ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। গত মৌসুমে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া এবং ২০২৩ সালে প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হওয়া সেই দলটিই এবার শিরোপার দ্বারপ্রান্তে।
ফুটবল জাদুকরের ছোঁয়ায় মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তারা পরিণত হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদারে।
আগামী শনিবার রাতে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ফাইনালে ইন্টার মিয়ামির প্রতিপক্ষ হলো নিউইয়র্ক সিটি এফসি। আরেক সেমিফাইনালে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিউইয়র্ক ফাইনালে উঠেছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন