ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ক্যারিয়ার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ওকে দিয়ারিও–র বরাতে ‘ট্রান্সফার নিউজ লাইভ’ জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুসকে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা বলেছেন নেইমার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেইমার ভিনিসিয়ুসকে তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দেন। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়াকে তিনি এখন ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ হিসেবে দেখেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ভিনিসিয়ুসকে সতর্ক করে নেইমার বলেছেন, বড় অর্থ বা আলাদা প্রকল্পের লোভে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়লে ভবিষ্যতে আফসোস করতে হতে পারে।
নেইমারের মতে, বর্তমানে ভিনিসিয়ুস যদি কিলিয়ান এমবাপ্পের তুলনায় জনপ্রিয়তা বা আর্থিক দিক থেকে নিজেকে কিছুটা পিছিয়ে মনে করেন, তবুও রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ এমন ইতিহাস, মর্যাদা এবং ক্যারিয়ার স্থিতিশীলতা দিতে পারে—যেটা অন্য কোনো ক্লাব দিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, নেইমার বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার সময় ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২২ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
কিন্তু পিএসজিতে ঘন ঘন চোটে পড়ায় তার ক্যারিয়ার বারবার বাধাগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে তিনি সৌদি ক্লাব আল-হিলালে যোগ দেন এবং ২০২৫ সালে ইনজুরির ধকল কাটাতে নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে যান।
এদিকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। ক্লাব চুক্তি নবায়ন করতে চাইলেও বিষয়টি এখন জটিল আকার ধারণ করেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুসের চুক্তি নবায়ন এখন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলেও আলোচনা কার্যত আটকে আছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ভিনিসিয়ুস নাকি ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে জানিয়েছেন—বর্তমান কোচ জাভি আলোনসোর সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুক্তি নবায়নে রাজি নন।
বর্তমানে ভিনিসিয়ুস বছরে কর পরিশোধের পর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো বেতন পান। রিয়াল মাদ্রিদ তাকে নতুন চুক্তিতে ২ কোটি ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে নিজের দাবিতে তিনি বছরে প্রায় ৩ কোটি ইউরোর প্যাকেজ (বেতন, বোনাস ও নবায়ন বোনাসসহ) চান।
কিন্তু সমস্যা হলো—রিয়াল মাদ্রিদ আগে কখনোই খেলোয়াড়দের জন্য ‘রিনিউয়াল বোনাস’ চালু করেনি। তাছাড়া ক্লাবের সর্বোচ্চ বেতনভোগী কিলিয়ান এমবাপ্পে কর পরিশোধের পর পান ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো, যদিও সাইনিং ফি হিসেবে তিনি বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছিলেন।



