সাবেক প্রিমিয়ার লীগ ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের এক ফুটবল তারকা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক হয়েছেন। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া এই খেলোয়াড়কে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে আটক করা হয়।
এওএল (আমেরিকা অনলাইন) ও বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, পরবর্তীতে পুলিশ তাকে জামিনে ছেড়ে দেয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তদন্ত চলমান রয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতের দিকে যখন সন্দেহভাজনকে বিমানবন্দরপথে পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ স্থলে থামানো হয়।
জানা গেছে, রুটিন চেকের সময়ই তার বিরুদ্ধে একটি পুরোনো ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। বর্ডার ফোর্সের কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নেন এবং বিমানবন্দরে তিনি কোনো ফ্লাইটে উঠার আগে তাকে আটক করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এটা অদ্ভুত যে সম্প্রতি তিনি এতগুলি পাবলিক ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন, অথচ এখন বিমানবন্দরে হঠাৎ করে আটক হলেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি পাসপোর্ট কন্ট্রোলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বর্ডার ফোর্সের কর্মকর্তারা তাকে আলাদা করে তুলে নিয়ে যান।
এসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী প্রাক্তন সঙ্গী কয়েক সপ্তাহ আগে অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে তিনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ পরে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আইনগত কারণে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তকে স্থানীয় থানায় নেওয়া হয়, যেখানে তার আঙ্গুলের ছাপ, ডিএনএ নমুনা ও ছবি নেওয়া হয়। অভিযোগকারীকে বিশেষায়িত যৌন অপরাধ তদন্ত কর্মকর্তারা সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন এবং তাকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এসেক্স পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একজন সাবেক ফুটবলারকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে পুনরায় হাজিরার জন্য জামিনে রাখা হয়েছে।


