ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সৌদি আরব ৫ হাজারের বেশি পাকিস্তানি নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি এই তথ্য সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জানিয়েছেন।
একই অভিযোগে গত ১৬ মাসে ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ৩৬৯ জন পাকিস্তানিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি সম্প্রতি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির এক অধিবেশনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
নাকভি বলেন, ‘বিদেশে এমন কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, তাই ফেরত আসা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
যারা পাসপোর্ট বাতিলের শিকার হবেন, তারা আগামী পাঁচ বছর নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।’
প্রসঙ্গত, দারিদ্র্য ও প্রলোভনে পড়ে অনেক পাকিস্তানি ভুয়া এজেন্টদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রা করেন। সেখানে কাজ না পেয়ে তারা ভিক্ষাবৃত্তিতে নাম লেখান।
হজ বা ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে অনেকে অবৈধভাবে বসবাস শুরু করে এবং জীবিকা নির্বাহে ভিক্ষাকেই বেছে নেন।
পাকিস্তান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েও এই সমস্যা বন্ধে কার্যকর সমাধান আনতে পারেনি। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।