ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বন্যায় ভাসতে পারে দেশের যে আট জেলা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
আট জেলায় বন্যা সতর্কতা, বাড়ছে নদ-নদীর পানি। ছবি- সংগৃহীত

ভারতের আসাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে করে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে সাময়িকভাবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্র।

শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য জারি করা পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং তৎসংলগ্ন ভারতের উজান এলাকায় টানা বৃষ্টির ফলে দেশের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিস্তা ও ধরলায় পানি বৃদ্ধি

রংপুর বিভাগের ধরলা নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। যদিও তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে কিছুটা কমলেও আগামী তিন দিন এর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে করে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া দুধকুমার নদীর পানি এখন স্থিতিশীল থাকলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিলেট-ময়মনসিংহে যাদুকাটা-কংসের পানি বাড়ছে

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে যাদুকাটা, ঝালুখালি, সোমেশ্বরী ও কংস নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে লুবাছাড়া, সারিগোয়াইন, জিঞ্জিরাম ও ভুগাই নদী এখন স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও তিন দিনের মধ্যে এসব নদীর পানিও বাড়তে পারে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

রাজশাহী-রংপুরের নদীগুলোর হালচাল

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মহানন্দা ও যমুনেশ্বরি নদীর পানি বাড়ছে। তবে ঘাঘট, পুনর্ভবা, করতোয়া, আপার আত্রাই ও টাঙ্গন নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকলেও পরবর্তী দুদিনে বৃদ্ধি পেতে পারে। এসব নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের পরিস্থিতি

চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরি, সেলোনিয়া ও গোমতী নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে এবং রহমতখালি খাল ও নোয়াখালী খালের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী তিন দিনে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচেই থাকতে পারে।