সংবেদনশীল ডাটা চুরির অভিযোগে ভারতীয় টেকনোলজিস্ট অমিত গুপ্তকে তিন মাস ধরে আটক করে রেখেছে কাতারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ । তার বাড়ি ভারতের বড়োদরা। তার বিরুদ্ধে এখনো তদন্ত অব্যাহত আছে।
তার মা পুষ্প গুপ্ত বলেছেন, ১লা জানুয়ারিতে তার ছেলে অমিতকে আটক করে কাতার কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মাহিন্দ্র’র আইটি বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা অমিত গুপ্ত টেক। কর্তৃপক্ষের তদন্তের ফলে কাতারে ভারতীয় দূতাবাস বিষয়টি জানতে পেরেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, অমিতের পরিবারের দাবি তিনি নির্দোষ। তাকে মিথ্যে চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা তার জরুরি মুক্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস। ঘনিষ্ঠভাবে নজর রেখেছে এ বিষয়ে। একই সঙ্গে অমিতের পরিবার, তার আইনজীবী ও কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস।
অমিত গুপ্তের মা বলেন, তিনি কাতার গিয়েছিলেন। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তারা ইতিবাচক কোনো সাড়া পাচ্ছেন না।
বিজেপি দলীয় এমপি হেমাং যোশি বলেছেন, কাতারে টেক মাহিন্দ্র’র হয়ে ১০ বছর ধরে কাজ করছিলেন অমিত। তাকে কাতারের নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তারা আটক করে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে। তার পিতামাতা একমাস আগে কাতার গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ছেলেকে মুক্ত করতে পারেননি।
২০২২ সাল থেকে কাতারে ভারতীয় নাগরিক আটকের এটা দ্বিতীয় ঘটনা। ওই বছর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক আটজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। ২০২৩ সালে তাদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
পরবর্তীতে কাতারের একটি আদালত সেই শাস্তি লঘু করেন। কাতারের আমিরের নির্দেশে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্রঃ এনডিটিভি

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন