বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম

বিশ্ববাজারে ডলারের দরপতন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম

বিশ্ববাজারে ডলারের দরপতন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের পরে বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটেছে। বিপরীতে মূল্য বেড়েছে ইউরোর। বিনিয়োগকারীরা ইয়েন ও সুইস ফ্রাঙ্কের মতো নিরাপদ আশ্রয়স্থলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, বহুল প্রতীক্ষিত ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার বাজারে ধাক্কা লেগেছে। বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে এবং বিনিয়োগকারীরা বন্ডের পাশাপাশি সোনায় বিনিয়োগ শুরু করেছেন।

গতকাল বুধবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত আমদানির উপর ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক আরোপ করবেন এবং দেশের কিছু বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ করবেন।

নতুন শুল্ক আরোপের ফলে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হয়ে উঠেছে। বাজারগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারণ আশঙ্কা বাড়ছে যে, একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং জ্বালানি মূল্যস্ফীতির কারণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার ডলার সূচক ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১০২.০৩ এ দাঁড়িয়েছে, যা অক্টোবরের শুরুর পর থেকে সর্বনিম্ন। তবে ইউরো সূচক ১ দশমিক ৫ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, নিউজিল্যান্ড ডলার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, জাপানের ইয়েন তিন সপ্তাহের সর্বোচ্চে শক্তিশালী হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতি ডলারে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে এবং সুইস ফ্রাঙ্ক পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী স্তরে গিয়ে ১ ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৮৬৫৫ হয়েছে।

ক্যাপিটাল ডটকমের সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক ড্যানিয়েলা সাবিন হ্যাথর্ন জানান, ট্রাম্প ঘোষিত ‘মুক্তি দিবসের’ সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, ‘মূল কথা হলো, অনিশ্চয়তা এখনো বেশি - এমনকি কয়েকদিনের আলোচনার পর এই নতুন শুল্কগুলোর কিছু বাতিল বা সংশোধিত হতে পারে বিষয়টি বিবেচনায় থাকার পরেও। মোটামুটি অনুমান অনুসারে, অর্থনৈতিক প্রভাব ১৯৩০-এর দশকের স্মুট-হাওলি শুল্কের চেয়েও বেশি হতে পারে।’

১৯৩০ সালে স্মুট-হাওলি শুল্ক আইন প্রণয়নের পরে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি কর বাড়িয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিশোধের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল। মার্কিন ওই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ধীর করে দিয়ে মহামন্দাকে আরো খারাপ করেছে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়।

আরবি/এসএমএ

Link copied!