পেহেলগামের ঘটনায় সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ভবিষ্যতে বাঁধ নির্মাণ করে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রয়েছে নয়াদিল্লির। সেই পরিকল্পনাও নাকি করছে। এই খবরে বেজায় চটেছে পাকিস্তান। হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। বলেছেন, ভারত বাঁধ নির্মাণ করলে তা মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৩ মে) পাকিস্তানি টেলিভিশন জিও নিউজের ‘নয়া পাকিস্তান’ প্রোগ্রামে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
খাজা আসিফ ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘আগ্রাসন মানে শুধু বন্দুকের গুলি বা কামানের গোলা ছোড়া নয়, বহুভাবে আগ্রাসন হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে পানিপ্রবাহ বন্ধ বা পানিপ্রবাহকে ভিন্নপথে চালিত করা। কারণ, এর ফলে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।’
তিনি বলেন, পানিবণ্টন চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারত যদি সিন্ধু নদে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করে, তাহলে আমরা অবশ্যই (মিসাইল) হামলা চালাবো। তবে আপাতত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি (সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি) নিয়ে আলোচনা ও নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চলছে।
এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনাও করেছেন খাজা। তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনের পটভূমিতে রাজনৈতিক লাভের জন্য মোদি নাটক করছেন। যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে ভারতের ওপর বৈশ্বিক চাপ অনেক বেড়েছে। তবে আমি বলব না যে, হুমকি এড়ানো গেছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এরমধ্যে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষর হওয়া সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মত, সিন্ধু ও তার পশ্চিম দিকে প্রবাহিত উপনদীগুলোর পানি আটকাতে বা অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিকাঠামো এখন পর্যন্ত ভারতের নেই। সিন্ধুর পানি আটকানো বা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো বড় বাঁধ নির্মাণ করা নেই। তবে, সিন্ধু পানি চুক্তি রদ করার কারণে ভবিষ্যতে বাঁধ নির্মাণ করার সুযোগ রয়েছে ভারতের।