পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষই একে অপরকে প্রতিহত করার নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সোমবার (৫ মে) দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তান আতঙ্কিত হয়ে এসব করছে বলে মন্তব্য করেছে ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ওপর যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ভারত। এই ভয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আত্মতুষ্টি পেতে চাইছে দেশটি।
যুদ্ধ করার মতো পাকিস্তানের পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই বলেও মন্তব্য করে ভারত।
ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআই দাবি করেছে, পাকিস্তান বর্তমানে গোলাবারুদের তীব্র সংকটে ভুগছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে মাত্র ৪ দিন টিকে থাকার অবস্থাও নেই তাদের।
এদিকে, পাকিস্তানকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন রাজ্যে বিরল প্রতিরক্ষা মহড়া চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার (৭ মে) এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ফাতাহ’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়।
পাকিস্তান আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়, সামরিক বাহিনীর আভিযানিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। গত কয়েক দিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম নিশ্চিত করা এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উপযুক্ততা যাচাই করা।’
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দোষারোপ করে নয়াদিল্লি।
তবে, পাকিস্তান এ হামলায় কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করছে এবং এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
পাকিস্তানে সম্ভাব্য যেকোনো হামলার বিষয়ে ভারতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সোমবার (৫ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা হলে পাকিস্তান পূর্ণ সামরিক শক্তি দিয়ে’ তার জবাব দেবে।