পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৮ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ অভিযানে পাকিস্তানের এক সেনাসদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার (৫ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তথ্য শাখা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ও রোববার (৩ ও ৪ মে) উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার এবং বান্নু এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
গুলি বিনিময়ের সময় নায়েক মুজাহিদ খান (৪০) নিহত হন। তিনি ছিলেন একজন সেনাবাহিনীর সদস্য।
অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীরা নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্য বলে জানা গেছে। যদিও আইএসপিআরের বিবৃতিতে সংগঠনটির নাম না নিয়ে তাদের 'খারিজি' বা 'সন্ত্রাসী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলাই তাদের লক্ষ্য।
গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। টিটিপি সাধারণত খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে সক্রিয়, আর বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) তৎপর।
২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বাড়তে থাকে। ২০২৪ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ বছর। ওই বছরে ৪৪টি বড় হামলা হয়েছে, যা গত এক দশকে সর্বোচ্চ। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৫ জন সেনা সদস্য এবং ৯২৭ জন সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, সেনা ও পুলিশের অভিযানে ২০২৪ সালে মোট ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :