ভারতে আবার শুরু হয়েছে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির মহড়া। সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, পুরো দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে টানটান উত্তেজনা।
সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই সতর্ক হচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে, আগামীকাল (বুধবার) থেকে দেশের ২৪৪টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্য সচিবদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
মহড়ায় বিমান হামলা হলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো, ‘ব্ল্যাক আউট’ ব্যবস্থা কার্যকর করা, বাংকার প্রস্তুত রাখা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ঢেকে রাখা ইত্যাদি ব্যবস্থা পরীক্ষার অংশ হবে।
সম্প্রতি পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে রাতের বেলায় হঠাৎ করে ‘ব্ল্যাক আউট’ মহড়া চালানো হয়েছে। ব্রিজ, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলের ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঢেকে ফেলার কাজও চলছে, যাতে শত্রুবিমানার পাইলটরা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারে।
এছাড়াও, সিভিল ডিফেন্স এবং এনসিসি ক্যাডেটদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই মহড়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কোথায় নিরাপদে যেতে হবে- এসব শেখানো হবে। আহতদের দ্রুত উদ্ধারে হেলিকপ্টারের ব্যবহার করার পরিকল্পনাও আছে।
কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে বাংকার মেরামত, খাদ্য ও পানীয় মজুত, এবং সড়ক মেরামতের কাজ জোরকদমে চলছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কৃষকদের দ্রুত ফসল কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হলেও ক্ষতি কম হয়।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন- যেকোনো ভুল পদক্ষেপ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশকেই তিনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :