পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ভাটিন্ডা শহরের বিমানঘাঁটিতে সফল হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করেছে।
শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের জিওটিভি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, এই হামলা ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।
ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটি ভারতের মালওয়া অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। এটি ভারতের বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি।
পাকিস্তান দাবি করেছে, এই হামলায় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে রাখা হয়নি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে ভারতের হামলায় পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু হয়। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান এই অভিযান পরিচালনা করেছে।
‘বুনিয়ান মারসুস’ শব্দগুচ্ছ কোরআনের একটি আয়াত থেকে নেওয়া, যার অর্থ ‘সীসা গলিয়ে তৈরি এক অটুট প্রাচীর’। এই নামটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শক্তি, ঐক্য এবং প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ভারতীয় সামরিক বিশেষজ্ঞরা এই হামলাকে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, এই হামলা ভারতের সামরিক সক্ষমতার ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে তা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ভারতের ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায় আশা করছে, উভয় দেশ আলোচনার মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করবে।