ভারত সরকারকে তাদের পূর্ববর্তী মুসলিম শাসকদের ‘দয়া ও উদারতা’ স্মরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমেদ বিন হামাদ আল-খলিলি। একই সঙ্গে ‘আক্রমণকারীদের ওপর বিজয়’ অর্জন করায় পাকিস্তানিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১২ মে) ভারতকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করায় পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি।
আরবিতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তারা (পাকিস্তান) তাদের নির্যাতিত মুসলিম ভাইদের সঙ্গে (বিশেষ করে আল-আকসার পবিত্র ভূমির) দৃঢ়তা ও শক্তি নিয়ে দাঁড়াবে। আমরা ভারত সরকারকে মুসলমানদের প্রতি তার শত্রুতা ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অতীতে দেশটির মুসলিম শাসকরা তার জনগণের প্রতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কীভাবে দয়া ও উদারতার আচরণ করেছিল, তা মনে রাখার আহ্বানও জানাচ্ছি।’
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ অঞ্চল মুসলিম শাসকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ষোড়শ থেকে আঠারো শতকের মধ্যে মুঘল সাম্রাজ্য উপমহাদেশের বেশিরভাগ অংশ শাসন করেছিল মুসলিমরা।
ভারত সরকার মুসলমানদের প্রতি ‘শত্রুতাপূর্ণ’ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন মুফতি শেখ আহমেদ। বলেন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উৎসাহিত করছে দেশটির সরকার। আর গত ২২ এপ্রিলের ঘটনার পর সেটার ইঙ্গিত বলেই মনে হচ্ছে।
পেহেলগামের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে প্রতিশোধ হিসেবে ৭ মে দেশটিতে বিমান হামলা চালায় ভারত। এরপর বিমান, ড্রোন হামলা হয় উভয় পক্ষের। মোট হতাহতের সংখ্যা শতকের ঘরে বলে জানা গেছে। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত শনিবার (১০ মে) নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে।
এ ঘটনাকে ভারতের উপর নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। তবে ভারত বিজয় দাবি করলেও পাকিস্তানকে তারা ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছে বলে করছে। এদিকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের অঙ্ক কয়েকগুণ বেশি। প্রাণহানির সংখ্যায় পাকিস্তানি বেসামরিকের সংখ্যার তুলনায় ভারতের বেশ কম।
শনিবারই ওমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :