ঢাকা শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৪৩

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ০৮:৪১ এএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত। ছবি: সংগৃহীত

দখলদার ইহুদি সেনাবাহিনীর লাগাতার বোমা বর্ষণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় শহিদ হয়েছেন অন্তত ১৪৩ জন ফিলিস্তিনি। একই সঙ্গে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক নিরপরাধ মানুষ।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ফজরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ইহুদি বাহিনীর হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বহু ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, বহু পরিবার নিঃশেষ হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৬ মে) সকালেও গাজার নানা এলাকায় ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভোররাতে বেশ কয়েকটি স্থানে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। বিশেষ করে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে চালানো হামলায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আল-তাওবাহ ক্লিনিকের ওপরের তলায় চিকিৎসাধীন রোগীরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যান। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন শহিদ হন, যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, শুক্রবার সকালের হতাহতের ঘটনাসহ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় মোট শহিদের সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ১০ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৮ জন।

গত ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযানে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দখলদার বাহিনী। এরপর প্রায় দুই মাস গাজায় কিছুটা শান্তি বিরাজ করলেও, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কারণ হিসেবে দেখানো হয়, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে হামাসের সঙ্গে মতপার্থক্য।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ- কোনো কিছুই রেহাই পায়নি।

গাজার জনপদ ধ্বংসের মুখে। মানবিক বিপর্যয় চরমে। তবুও থেমে নেই দখলদার বাহিনীর বর্বরতা। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা এ বিপর্যয়কে আরও গভীর করে তুলছে।