যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
কেন্টাকি অঙ্গ রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নয়জন নিহত হয়েছেন এবং মিসৌরিতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছেন। তাদের মধ্যে সেন্ট লুইস শহরেই পাঁচজন রয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ মে) ভোরে কেন্টাকি রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বে লরেল কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হানে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।
মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার টর্নেডোর আঘাতে পাঁচ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ছাদ ধ্বংস হয়েছে এবং বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে।
সেন্ট লুইসের প্রায় এক লাখ স্থাপনা বিদ্যুৎবিহীন ছিল এবং দমকল বিভাগ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার রাডার থেকে জানা গেছে, টর্নেডোটি স্থানীয় সময় দুপুর ২:৩০ মিনিটের কিছু পরে শহরের পশ্চিমে ফরেস্ট পার্কের কাছে আঘাত হানে। শহরে সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানা ও ১৯০৪ সালের অলিম্পিক গেমসের মাঠ রয়েছে।
সেন্ট লুইসের দমকল বিভাগ জানায়, নিকটবর্তী সেন্টেনিয়াল খ্রিষ্টান গির্জার একটি অংশ ধসে পড়ার পর তিনজনকে উদ্ধার করতে হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
ধ্বংসস্তূপের আঘাত রোধ করতে ও লুটপাটের সম্ভাবনা কমাতে স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেন্সার বলেছেন, ‘প্রাণহানি ও ধ্বংস সত্যিই ভয়াবহ। আগামী দিনগুলোতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু আজ রাতে আমরা জীবন বাঁচানো, মানুষকে নিরাপদ রাখা ও লোকদের শোক প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়ার উপর মনোযোগ দিচ্ছি।’
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, টর্নেডো প্রতিবেশী ইলিনয়েও আঘাত হেনেছে, আরও তীব্র আবহাওয়া পূর্ব দিকে আটলান্টিক উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত।