ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ইসলামাবাদকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। এ কারণে তুরস্কের চকলেট, কফি, জ্যাম ও প্রসাধনী থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত সবকিছুই বয়কট করছে ভারতীয়রা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ইসলামাবাদকে সমর্থন করার কারণে তুরস্কের বিরুদ্ধে শুধু ভোক্তারাই নয় বরং নয়াদিল্লির মুদি দোকানি থেকে শুরু করে বড় বড় খুচরা বিক্রেতারাও পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সোমবার (১৯ মে) মম-এন্ড-পপ মুদি দোকান সরবরাহকারী অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটরস ফেডারেশন (এআইসিপিডিএফ) জানিয়েছে, তারা তুরস্কে উৎপাদিত সব পণ্য ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য এবং সম্পূর্ণ বয়কট’ শুরু করেছে, যা চকলেট, ওয়েফার, জ্যাম, বিস্কুট এবং ত্বকের যত্নের পণ্যগুলোকে প্রভাবিত করবে।
এ ছাড়াও ওয়ালমার্ট-সমর্থিত ফ্লিপকার্ট এবং বিলিয়নেয়ার মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের মালিকানাধীন ভারতীয় ফ্যাশন ওয়েবসাইটগুলো এরইমধ্যে অসংখ্য তুর্কি পোশাক ব্র্যান্ড সরিয়ে দিয়েছে।
ভারতের অন্যতম বৃহৎ আপেল উৎপাদনকারী রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সোমবার বলেছেন, তিনি তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ করবেন, যা গত বছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ছিল।
এআইসিপিডিএফ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রায় ২০ বিলিয়ন রুপি (২৩৪ মিলিয়ন ডলার) খাদ্য পণ্যের ক্ষতি হবে।
এ ছাড়াও ফ্লিপকার্ট ‘ভারতের জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে’, তুরস্কে ফ্লাইট, হোটেল এবং ছুটির প্যাকেজ বুকিং স্থগিত করছে। ভারতীয়রা তুরস্ক সফর বাতিল করছে এবং নয়াদিল্লি তুরস্ক-ভিত্তিক বিমান চলাচল গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা সেলেবির নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটিতে হামলা চালায় নয়াদিল্লি। এ উত্তেজনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পাকিস্তানের সঙ্গে জনসংহতি প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই ভারতীয়রা তুরস্কের বিভিন্ন পণ্য বয়কট করা শুরু করে।
আপনার মতামত লিখুন :