ভারতের আহমেদাবাদে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লিখেন, আজ আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি বিষণ্ণ।
তিনি লিখেন, আহত-নিহতদের পরিবারগুলো যখন তাদের এই অপূরণীয় ক্ষতির জন্য শোক পালন করছে, আমরাও আমাদের তরফ থেকে তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
শাহবাজ শরিফ লিখেন, এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার প্রভাব যাদের ওপরে পড়েছে, তাদের জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল।
এর আগে, ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করার পর কিছুটা দুলতে দুলতে এগিয়ে যাচ্ছিল। এর কিছু সময় পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে।
বিমান চলাচল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সাবেক ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর এনডিটিভিকে জানান, উড্ডয়নের পর সম্ভবত বিমানটির পাখির আঘাতে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞের মতে, উড্ডয়নের সময় বিমানটির শক্তির অভাব দেখা দেয়, যার ফলে বিমানটি ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
ভাটনাগর বলেন, ‘প্রথমতো, মনে হচ্ছে একাধিক পাখি আঘাত হানায় দুটি ইঞ্জিনও বিকল হয়ে গেছে। উড্ডয়ন ছিল নিখুঁত, তবে ল্যান্ডিং গিয়ারটি ওপরে তোলার আগেই বিমানটি নিচে নামা শুরু করে। এর কারণ সাধারণত ইঞ্জিনের বিকল হওয়া অথবা বিমানের আকাশে থাকার সামর্থ্য হারানো।’
তিনি আরও জানান, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে উড্ডয়ন ছিল বেশ সুন্দর এবং বিমানটি নিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে নেমে আসে। পাইলট জরুরি পরিস্থিতির জন্য ‘মে ডে’ কল করেছিলেন, যা দেখায় যে বিমানটি তীব্র পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।
বিমানটি আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, এর মধ্যে ২৩০ জন সাধারণ যাত্রী এবং বাকি ১২ জন ছিলেন কেবিন ক্রু।
ঘটনার এখনো তদন্ত চলছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :