ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান ও ড্রোন হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এই আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানায়। খবর আলজাজিরা।
সৌদির কড়া ভাষায় নিন্দা সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরব এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানায় এবং মনে করে-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই উচিত এই আগ্রাসন থামানো ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
এই প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করছে, যেখানে শত্রুপক্ষ ইরান ও সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে চীনের মধ্যস্থতায়।
এদিকে, ইসরায়েল তাদের সীমান্তজুড়ে ব্যাপক সেনা মোতায়েন শুরু করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ইয়াল জামির এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, সেনাবাহিনী সমস্ত সীমান্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাজার হাজার সৈন্যকে মোতায়েন করা হচ্ছে। যারা আমাদের চ্যালেঞ্জ করবে, তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নিরঙ্কুশ সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না। তবে এবার আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন ও ভয়াবহ।
ইসরায়েলের সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
ইরানও চুপ নেই। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেখারচি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসরায়েল শুধু সামরিক নয়, বেসামরিক স্থাপনাতেও হামলা চালিয়েছে। আবাসিক ভবনকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। ইরান তার যথাযথ জবাব দেবে।
তিনি দাবি করেন, এই হামলার পেছনে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও পরোক্ষভাবে জড়িত। তারা যদি মনে করে ইরান নীরব থাকবে, তবে সেটা হবে তাদের জন্য বড় ভুল।
আপনার মতামত লিখুন :