ইরানে হামলার পর দেশে ফিরে গেলেন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর এক নারী পাইলট (যুদ্ধ নেভিগেটর)। দেশের মাটিতে ফেরার পর এ পাইলট নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
ফিরে যাওয়া পাইলটের নাম মেজর শিন। তিনি ইরানের ওপর ভয়াবহ বিমান হামলায় অংশ নেন। হামলায় দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
ফিরে এসে তিনি বলেন, এটি ইসরায়েলের জন্য ঐতিহাসিক এবং আবেগপ্রবণ মিশন ছিল। একটি বড় হুমকি ঠেকানোর লক্ষ্যে এ অভিযান করা হয়।
পাইলটের পুরো পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শুধু তার নামের প্রথম হিব্রু অক্ষর দিয়ে তাকে পরিচিত করে আইএএফ (ইসরায়েলি বিমান বাহিনী)। বলা হয়, গর্বিত এয়ার ক্রুর একজন নারী সদস্য হিসেবে বিরল প্রকাশ্য মন্তব্য করলেন তিনি।
শিন বলেন, আমি ককপিটে দায়িত্ব অনুভব করেছি। ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য একটি সজাগ এবং অস্তিত্বের হুমকি দূর করার দায়িত্ব আমার কাঁধে অনুভব করি। আমরা এটি করছি আগামী দিনের শান্তির জন্য। আমাদের বাড়ির জন্য। এটাই আমাদের মিশন।
মেজর শিন ইসরায়েল থেকে ১,৫০০ কিলোমিটারের (প্রায় ১,০০০ মাইল) বেশি দূরত্বে উড়ে হামলার পর ফিরে আসেন। তিনি এ অভিযানকে বহুমুখী, কঠিন ও শক্তিশালী বিমান অপারেশন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, এ অভিযান এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে নিশ্চিত করা যায়, আমাদের সন্তানদের একটি উন্নত এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ হবে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরানি সংবাদমাধ্যম। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান দুটি শুক্রবার হামলায় অংশ নিয়েছিল।
সেনাবাহিনীর বরাতে দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হামলায় নিয়োজিত এক নারী পাইলটকে আটক করা হয়েছে। তবে তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি ইরানের সেনাবাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন :