ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্মদানের শীর্ষে ৪টি দেশ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

ইউরোপজুড়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে সন্তান জন্মদানের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রবণতায় শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে জন্ম নেওয়া প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ৬০ জনের বাবা-মা বিবাহিত নন।

ইউরোপের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট-এর এক জরিপে দেখা যায়, ২০১৮ সালে ইউরোপে মোট সন্তানের ৪২ শতাংশই জন্ম নেয় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে। ২০০০ সালে এই হার ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১৮ বছরে এ হার বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।

ফ্রান্সের পরে রয়েছে বেলজিয়াম (৫৮.৫%), স্লোভেনিয়া (৫৭.৭%), এবং পর্তুগাল (৫৫.৯%)। সুইডেন, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া ও নেদারল্যান্ডসেও এই হার ৫০ শতাংশের উপরে।

ফ্রান্সসহ অনেক পশ্চিমা দেশে, পরিবার গঠন বা সন্তান লালনের জন্য বিয়ে এখন আর অপরিহার্য সামাজিক কাঠামো নয়।

ফরাসিরা মনে করেন, পারস্পরিক বোঝাপড়া না থাকলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অর্থ নেই। তাছাড়া, বিয়ের পর সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে অর্থনৈতিক দায়ভার বিশেষ করে পুরুষদের জন্য অনেক বেশি- যেমন সম্পত্তির অর্ধেক ভাগ, সন্তানের ভরণপোষণ ইত্যাদি।

পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশি তারিকুল হাসান আশিক বলেন, ‘দুজনের মধ্যে মানসিক মিল থাকলে তবেই তারা বিয়ের কথা ভাবেন। না হলে, ক্যারিয়ারে ফোকাস করতেই পছন্দ করেন।’

বিয়ে ছাড়াই সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণে রাষ্ট্রের সহায়তা রয়েছে। সন্তানের আইনি অভিভাবকত্ব এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকার নেয়। এই ব্যবস্থায় নারী-পুরুষরা সম্পর্কের বিচ্ছেদেও জটিলতায় পড়েন না।

ইতালিতে বিবাহবহির্ভূত সন্তানের হার ৩৪ শতাংশ, জার্মানিতে ৩৩ শতাংশ। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানির অবস্থান ২০তম। জার্মানরা তুলনামূলকভাবে ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামোকে গুরুত্ব দেয়। তারা বিশ্বাস করে, সন্তানের জন্য মা ও বাবা উভয়ের উপস্থিতি প্রয়োজন।

জার্মানিতে বিবাহিত দম্পতিরা সরকারের কাছ থেকে বাড়ি পাওয়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি (দুই বছর পর্যন্ত), এবং আর্থিক ভাতা- এসব সুযোগ পান। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রেও বিবাহিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

রোমানিয়ায় এ হার ৩০.৯ শতাংশ এবং লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাসে ২০ শতাংশের কিছু বেশি। গ্রিসে বিবাহবহির্ভূত সন্তান জন্মদানের হার সবচেয়ে কম- মাত্র ১১.১ শতাংশ।