ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হত্যার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘মহান হায়দারের নামে যুদ্ধ শুরু হচ্ছে’ যা ইসলামী খেলাফতের চতুর্থ খলিফা হজরত আলীর (রা.) উপনাম হায়দারের প্রতি ইঙ্গিত করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের অবশ্যই সন্ত্রাসী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা কোনো দয়া দেখাব না।’
খামেনির এই ঘোষণার পরপরই ইরান ইসরায়েলে দুটি দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) মধ্যরাতে এবং বুধবার (১৮ জুন) ভোরে এসব হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, রাত ১২টা ৪০ মিনিটের কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলের বিশাল অংশজুড়ে রকেটের সাইরেন বাজতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ১৫টি প্রজেক্টাইল আঘাত হানে। এর প্রায় ৪০ মিনিট পরে প্রায় ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ ছুঁয়ে আসার মাধ্যমে পরবর্তী আক্রমণ শুরু হয়।
হামলার কয়েক মিনিট আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বাসিন্দাদের সতর্ক করে এবং আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রতিটি আক্রমণের পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ইসরায়েলিদের জানিয়ে দেয়, বোমা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ছেড়ে যাওয়া এখন নিরাপদ।
ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার স্থানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। তবে আরও হামলার আশঙ্কায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, ট্রাম্পের একটি পারমাণবিক প্রস্তাবের জবাবে ইরান ওমানের মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তেহরান বলেছে, তাদের নীতি হলো সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ না নেওয়া। তবে, পরোক্ষ আলোচনা এখনো অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ট্রাম্প একদিকে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন, অন্যদিকে ধ্বংসের হুমকি দিচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় তেহরান, তবে প্রয়োজন হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’
এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :