ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। এই ইস্যুতে ইরানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার কারণে এর মধ্যে দেশটিতে বিক্ষোভও হয়েছে। এখন ট্রাম্প ও তুলসী গ্যাবার্ডের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ৪৩ বছর বয়সি তুলসীকে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক পদে মনোনীত করেন ট্রাম্প। তুলসী সবসময়ই ট্রাম্পের পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তবে এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে।
রাজনৈতিকভাবে তুলসীর নাজুক অবস্থানটি চলতি সপ্তাহে প্রকাশ্যে আসে, যখন ট্রাম্প গত মার্চ মাসে কংগ্রেসে দেওয়া তার (তুলসী) সাক্ষ্য নিয়ে তাকে এক প্রকার আক্রমণ করেন।
কংগ্রেসে তুলসী বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে না যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, যা ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ট্রাম্প বলেন, ‘সে (তুলসী) কী বলেছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি মনে করি, তারা (ইরান) পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর খুব কাছাকাছি রয়েছে।’
একজন প্রেসিডেন্ট যদি প্রকাশ্যে তার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের বক্তব্য অস্বীকার করেন, তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :