ইরান এখনও নিজেদের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। এরপরও ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। তাহলে কি এমন কৌশল অবলম্বন করল ইরান যার প্রভাবে এমন পরিণতি হলো ইসরায়েলের?
বিশ্লেষকরা ইরানের হামলার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল চিহ্নিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
জেনে নিন বিশ্লেষকদের মতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেসব অবলম্বন করেছে ইরান:
দিন-রাতের অনিয়মিত হামলা: নির্দিষ্ট সময়ের পরিবর্তে দিনে-রাতে যেকোনো সময় আঘাত হানায় ইসরাইল প্রতিরোধে অপ্রস্তুত।
ভ্রান্তি তৈরির কৌশল: আসল ও ভুয়া হামলার সংমিশ্রণে ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা বিভ্রান্ত হয়েছে।
বিভিন্ন অস্ত্রের ব্যবহার: একসঙ্গে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
আধুনিক প্রতিরক্ষা ভেদ: থাড, আয়রণ ডোম ও ডেভিড স্লিং-এর মতো অতি উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ব্যর্থ হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন গতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার ইসরাইলের প্রতিরোধ ব্যাহত করেছে।
চমকপ্রদ লক্ষ্যবস্তু: ইরান প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে, যা ইসরাইলের কাছে অপ্রত্যাশিত।
সীমাহীন হামলা ক্ষেত্র: হামলা কেবল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো দখলকৃত ভূখণ্ডে বিস্তৃত।
উন্নত তথ্যভান্ডার: ইরানের কাছে সেনা ঘাঁটি, তেল শোধনাগার ও অবকাঠামোর বিশদ টার্গেট লিস্ট রয়েছে।
ভয় দেখানো: ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে, দখলকৃত ফিলিস্তিনের কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়। এর মাধ্যমে ইসরাইলিদের ভীতসন্ত্রস্ত রাখছে ইরান।
নতুন অস্ত্র গোপন: ইরান এখনো তার সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি, ভবিষ্যতেও ইসরাইলকে চমকে দিতে চায়।
এর আগে, শুক্রবার ( ১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এরোস্পেস ফোর্স ১৩টি ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :