ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ৩ মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
ছবি- এআই দিয়ে তৈরি

ইরানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালিয়ে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে ইসরায়েল।

শুক্রবার (২০ জুন) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এসব উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রস্তুতি চলছিল।

একই সঙ্গে, ওই হামলায় এক সামরিক কমান্ডারকেও হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই।

তবে বিবৃতিতে নির্দিষ্টভাবে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোর অবস্থান কিংবা অভিযানের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। ইরানের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

এর আগে, ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, ইসরায়েল রাতভর ইরানের কয়েক ডজন সামরিক স্থাপনা এবং একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পাল্টা হামলা হিসেবে ইরানও দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইরানি স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

পৃথকভাবে, দক্ষিণ ইসরায়েলের বেয়ারশেবা শহরের সাইবারস্পার্ক কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে গ্যাভ-ইয়াম ৪ নামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন ধ্বংস হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সাইবার ও গোয়েন্দা অবকাঠামো সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

সূত্র অনুযায়ী, ভবনটিতে ড্রোন অভিযানের প্রশিক্ষণ এবং গুপ্তচরবৃত্তির কাজে নিয়োজিত গোয়েন্দা সদস্যদের কাজ চলত।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ৬০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয় এবং ১২০টিরও বেশি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, এই অভিযানে ইরানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা এসপিএনডি-র সদর দপ্তরেও হামলা চালানো হয়েছে। এসপিএনডি ইরানের উন্নত অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে জানিয়েছে তেলআভিভ।

এছাড়া রাতভর ইরান থেকে ছোড়া অন্তত চারটি ড্রোন সফলভাবে আটকানোর কথাও জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।