মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়া ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখান করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ)।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান হামলার সফলতায় ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার দাবি করেন। ইরানি পরমাণু কর্মসূচি অন্তত ২ বছর পিছিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে তার এই দাবিকে ভুল বলে পেন্টাগণ জানিয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা স্থায়ী নয়। কেবল ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।
পেন্টাগণের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব তথ্যকে মিথ্যা দাবি করে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ফেইক নিউজ সিএনএন, ব্যর্থ নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাথে একত্রিত হয়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানের মানহানি করতে চাচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। টাইমস আর সিএনএন দুটোই জনসাধারণের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা পাচ্ছে!’
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, হামলার পরও ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি।
এদিকে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে গোপন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ বলে মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, ‘এটা জঘন্য, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং এ নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। যারা দায়ী, তাদের শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, ক্ষয়ক্ষতির সব রিপোর্ট তিনি পড়েছেন এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে যুক্তরাষ্ট্র যে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করেছে, সেগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ হয়েছে।
ট্রাম্পও উইটকফের বক্তব্য সমর্থন করে ট্রুথ সোশালে ফক্স নিউজের ওই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ শেয়ার করেছেন। এতে উইটকফকে উদ্ধৃত করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা ফোর্ডোতে ১২টি বাংকার বাস্টার বোমা ফেলেছি। কোনো সন্দেহ নেই, সেটার ছাদ ভেদ করেছে এবং পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। কাজেই যে রিপোর্টগুলো বলছে আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি, তা সম্পূর্ণ হাস্যকর।’
আপনার মতামত লিখুন :