ইউক্রেন যুদ্ধ ৫০ দিনের মধ্যে না থামালে রাশিয়ার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালানো দেশগুলোর ওপর ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ বা আনুষঙ্গিক শুল্ক আরোপের কথাও জানান তিনি।
এই হুঁশিয়ারির চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার একই ধরনের হুমকি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে। রাশিয়ার সহযোগী দেশ হিসেবে এ ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি উল্লেখ করেছেন ভারত, ব্রাজিল ও চীনের নাম। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গেলে এই তিন দেশকেও কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেষ্টা সত্ত্বেও রাশিয়া এখনো ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে তেমন এগোয়নি, বরং আক্রমণ বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়াকে ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের ৫০ দিন সময় দেন। তখনই তিনি রাশিয়া ও তার বাণিজ্যিক বন্ধুদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।
একই সঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যও দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই হুমকির পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ন্যাটোর মহাসচিব তিন দেশের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বুঝিয়ে দিলেন, সামরিক যুদ্ধের অবসানে বাণিজ্যিক যুদ্ধ চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো কতটা প্রস্তুত।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল কিনে থাকে চীন, ভারত ও তুরস্ক। ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৫ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এই কেনাবেচা রাশিয়ার যুদ্ধ চালানোর রসদের কাজ করেছে।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, রাশিয়াকে চাপে রাখতে বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিকে মার্কিন সিনেটের ১০০ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৮০ জন সমর্থন করেছেন। এমনকি তারা মনে করছেন, রাশিয়ার সাহায্যকারী দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হলেও তা অযৌক্তিক হবে না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকির পর রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ও বোঝাপড়ায় আসতে রাশিয়া সর্বদা প্রস্তুত। তবে সে জন্য কোনো ধরনের চরমসীমা বেঁধে দিলে তাতে লাভ হবে না। সেটা গ্রহণযোগ্যও নয়।
আপনার মতামত লিখুন :