পশ্চিম তীরে ৬৩টি ফিলিস্তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে ‘ইসরায়েলি ঐতিহ্য’ বলে ঘোষণা দিয়েছে ‘ইসরায়েলি’ সেনা প্রশাসন। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউট জেরুজালেম (এআরআইজে)। বার্তা সংস্থা আনাদোলু বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মতি আলমোজ স্বাক্ষরিত সামরিক আদেশ অনুযায়ী নাবলুস গভর্নরেটের ৫৯টি, রামাল্লার ৩টি এবং সালফিতের ১টি স্থানকে ‘ইসরায়েলি’ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
এআরআইজে বলছে, এটি কেবল প্রশাসনিক বা আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য দখলের একটি সুসংগঠিত কার্যকলাপ। বিশেষ করে নাবলুস এলাকায় অধিকাংশ স্থান ‘ইসরায়েলি’ চৌকি, বসতি ও উপনিবেশ কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত।
আরও জানানো হয়, পশ্চিম তীরে ২ হাজার ৪০০টির বেশি ফিলিস্তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে ইতোমধ্যেই ‘ইসরায়েলি’ কর্তৃপক্ষ নিজেদের হিসেবে ঘোষণা করেছে।
তাদের অভিযোগ, ‘ইসরায়েল’ এসব জায়গাকে সংরক্ষণের অজুহাতে দখল করে এবং পরে বসতি স্থাপন, সামরিক ঘাঁটি বা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে, যা কেবল ‘ইসরায়েলি’ বসতি স্থাপনকারীদেরই উপকারে আসে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের শেষে পশ্চিম তীরে অবৈধ ‘ইসরায়েলি’ বসতির সংখ্যা ১৮০ এবং আউটপোস্টের সংখ্যা ২৫৬-তে দাঁড়ায়, যেখানে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি’ বাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৪ জন নিহত এবং ৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গত জুলাইয়ে এক রায়ে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ‘ইসরায়েলি’ দখলকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং সব বসতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন