ব্যবহারকারীদের অজান্তে এআই চ্যাট ফাঁসের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের এআই চ্যাটবট গ্রোক তাদের ওয়েবসাইটে ৩ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি চ্যাট প্রকাশ করেছে। এসব ইউআরএল সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হওয়ায় তা জনসাধারণের নাগালে চলে আসে।
শুধু চ্যাট নয়, ব্যবহারকারীদের আপলোড করা ছবি, স্প্রেডশিট ও অন্যান্য নথিও প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস। তবে গ্রোকের মূল সংস্থা এক্সএআই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রোক চ্যাট শেষে ব্যবহারকারীরা ‘শেয়ার’ বাটন ক্লিক করলেই সেই আলাপচারিতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেত। কিন্তু ব্যবহারকারীদের কোনো সতর্কবার্তা বা ডিসক্লেইমার দেওয়া হয়নি। প্রকাশিত ইউআরএলগুলোও সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যাচ্ছিল।
ফোর্বসের মতে, গ্রোকের ওয়েবসাইটে শর্তাবলিতে উল্লেখ রয়েছে যে, ব্যবহারকারীরা তাদের কনটেন্ট প্রকাশ, কপি, পরিবর্তন, বিতরণ ও জনসমক্ষে প্রদর্শনের স্থায়ী অধিকার এক্সএআইকে প্রদান করছে।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা:
মোজিলা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ই এম লুইস-জং সতর্ক করেছেন, ব্যবহারকারীদের কখনোই ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা সংবেদনশীল ডেটা এআই চ্যাটে শেয়ার করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো এসব এআই সিস্টেম স্বচ্ছভাবে জানায় না, ঠিক কতটুকু ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং কোন পরিস্থিতিতে তা প্রকাশ হতে পারে। বিশেষত যখন ১৩ বছর বয়সি শিশুরাও এসব চ্যাটবট ব্যবহার করতে পারছে।’
লুইস-জংয়ের মতে, গ্রোক বা চ্যাটজিপিটির মতো এআই কোম্পানিগুলোকে ব্যবহারকারীদের আরও পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে তাদের তথ্য জনসমক্ষে চলে যাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে।
বাজার পরিস্থিতি:
থট লিডারশিপ মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট পেজ সেইজ-এর তথ্য অনুযায়ী, বাজারে গ্রোকের অংশীদারিত্ব মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে নেতৃত্বে রয়েছে চ্যাটজিপিটি (৬০ দশমিক ৪ শতাংশ), এরপর মাইক্রোসফট কোপাইলট (১৪ দশমিক ১ শতাংশ) এবং গুগল জেমিনি (১৩ দশমিক ৫ শতাংশ)।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন