রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকায় স্ত্রীর পদবী নিতে পারবেন স্বামীরাও, জানালো আদালত

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন থেকে স্ত্রীর পদবী গ্রহণ করতে পারবেন স্বামীরাও। যুগান্তকারী এক রায়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত । এতদিন আইনগতভাবে এই অধিকার সীমিত ছিল, যা আদালত বাতিল করেছে । এই আইনকে ‘ঔপনিবেশিক প্রভাব’ এবং ‘লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য’ হিসেবে উল্লেখ করে দুই দম্পতির করা মামলার পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত ।

আদালতের পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসি জানায়, হেনরি ভ্যান ডার মারওয়ে তার স্ত্রী জানা জর্ডানের পদবি গ্রহণ করতে পারেননি। একইভাবে, আন্দ্রেয়াস নিকোলাস বর্নম্যানও তার স্ত্রীর নাম জেস ডনেলি-বর্নম্যানের ‘ডনেলি’ অংশটি নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করতে ব্যর্থ হন। এ রায় বাস্তবায়নের জন্য সংসদকে এখন ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন’ এবং এর সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধন করতে হবে। এ আইনটি শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু শাসনামলে প্রণীত হয়েছিল।

মামলাকারী দম্পতিরা যুক্তি দেখিয়েছেন, এ আইন পুরনো ও পিতৃতান্ত্রিক, যা ১৯৯৪ সালে বর্ণবাদ অবসানের পর প্রণীত সংবিধানের সমতার অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নিম্ন আদালতে জয়লাভের পর তারা সাংবিধানিক আদালতে এ রায় নিশ্চিত করার আবেদন করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আফ্রিকার বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নারীরা বিয়ের পরও তাদের জন্মগত পদবি ব্যবহার করতেন, এমনকি সন্তানরাও প্রায়ই মায়ের বংশীয় পদবি গ্রহণ করত। কিন্তু ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ এবং খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রভাবে এ প্রথায় পরিবর্তন আসে।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, রোমান-ডাচ আইনের মাধ্যমে স্ত্রীর স্বামীর পদবি গ্রহণের প্রথা দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়। উপনিবেশ স্থাপনকারী দেশগুলোর প্রবর্তিত আইনেও এ প্রথা প্রতিষ্ঠিত হয়। আদালতের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ অর্জন করলেও কিছু ক্ষতিকর আইন ও প্রথা এখনো বহাল রয়েছে।

এ মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী লিওন স্ক্রাইবার এবং বিচার ও সাংবিধানিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মামোলোকো কুবায়ি কেউই দম্পতিদের আবেদনের বিরোধিতা করেননি, বরং তাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!