রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

গাজায় রোগীদের ফেলে রেখে যাওয়ার সুযোগ নেই চিকিৎসকদের

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

ছবি : আল জাজিরা

ছবি : আল জাজিরা

ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে গাজা সিটিকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার মাঝেই অগ্রসর হচ্ছে। তবে শহরের প্রধান হাসপাতাল আল-শিফার চিকিৎসকদের কাছে রোগীদের ফেলে রেখে চলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

একসময় এই হাসপাতাল ছিল গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কমপ্লেক্স। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কয়েক দফা তীব্র ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলায় হাসপাতালটির বেশিরভাগ অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবুও ফিলিস্তিনিরা এটিকে শক্তি ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে দেখে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ক্লিনিকের ভবনের যে অংশ অবশিষ্ট আছে, সেটিকে এখন জরুরি বিভাগে রূপান্তর করা হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলের হামলায় আহত বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বোমায় বিধ্বস্ত সার্জারি বিভাগের একাংশকে শয্যাশায়ী রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছে। অনেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিও হাসপাতালের আশপাশে দুর্ভিক্ষ ও ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই বেঁচে আছেন।

বর্তমানে গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত এ হাসপাতালে কর্মরত এক স্বেচ্ছাসেবী অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক জানান, চিকিৎসাকর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছেন।

চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা হাসপাতালেই বসবাস ও কাজ করছেন জানিয়ে তিনি আল জাজিরাকে আরও বলেন, ‘আমি এই চিকিৎসকদের মধ্যে যে দৃঢ়তা দেখেছি, তারা সত্যিই বীর। আমরা এখানে মাত্র দুই সপ্তাহ ধরে আছি, কিন্তু আমরা যে পরিমাণ ট্রমা ও কঠোর পরিশ্রম দেখছি তা বোঝা সম্ভব নয়। আমি মনে করি না কোনো মানুষ এ অবস্থায় টিকে থাকতে ও সহ্য করতে পারবে।’

এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ইসরায়েলি কারাগারে সাত মাসের বেশি সময় কাটিয়েছেন। অভিযোগ আনা হয়েছিল, হামাস আল-শিফাকে ‘সন্ত্রাসবাদের’ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।

তবে সালমিয়ার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন ছাড়াই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর তিনি ইসরায়েলি সামরিক আটককেন্দ্রে নির্যাতন ও অপমানের বর্ণনা দেন।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার সালমিয়ার পারিবারিক বাড়িতে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। তিনি আল-শিফায় নিজের ভাই, ভাবি ও তাদের সন্তানদের মরদেহ দেখেন।

আবু সালমিয়া গাজার সিটিতে আল জাজিরার সাংবাদিক ইব্রাহিম আল-খালিলিকে বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা দল এখনো এই হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ভীষণ চাপের মধ্যে মানবিক দায়িত্ব পালন করছে। তাদের বার্তা অব্যাহত আছে—আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে রোগী ও আহতদের সেবা দিচ্ছি।’

আল-শিফা কেবল একটি উদাহরণ। গাজার বহু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসের শিকার হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার অধিকাংশ অবকাঠামোকেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরিচালক ডা. আহমেদ আল-ফাররা বলেন, গোটা উপত্যকার চিকিৎসা দলগুলোর জন্য তার কষ্ট হয়, যারা একইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি।

স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি সেবাদানকারীদের রেকর্ডসংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই (ইসরায়েল) চিকিৎসা দলগুলোকে আক্রমণ করছে ও টার্গেট করছে, এমনকি তাদের জেলে পাঠাচ্ছে এবং তাদের পরিবারকেও হামলার লক্ষ্য করছে। আপনি যদি গাজায় থাকেন, তবে আপনাকে সব ধরনের উপায়ে হত্যা করা হবে।’

সূত্র: আল জাজিরা

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!