ভারতের বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ফের বেকারত্বের প্রসঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিনি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে অভিযোগ করেছেন, বেকারত্ব ও ভোট কারচুপির জাঁতাকলে দেশজুড়ে যুবসমাজ হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া পোস্টে রাহুল দাবি করেন, দেশের তরুণদের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন বেকারত্ব, আর এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে ভোট চুরির। তার অভিযোগ, দেশে যতদিন ভোট কারচুপি চলবে, ততদিন বেকারত্ব ও দুর্নীতি বাড়তেই থাকবে। তবে দেশের যুবসমাজ আর বেশিদিন চাকরি চুরি ও ভোট চুরি বরদাস্ত করবে না।
রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং ভোট কারচুপি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে থেকে ক্ষমতায় টিকে আছে। এর ফলেই দেশে গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব দেখা দিয়েছে।
তিনি লিখেছেন, ‘যখন কোনো সরকার জনগণের ভোটে সত্যিকারের বিজয়ী হয়, তখন তার প্রথম দায়িত্ব যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। কিন্তু বিজেপি তো ভোটেই সৎভাবে জেতেনি, বরং চুরি করে সরকার দখল করেছে।’
তার দাবি, এর ফলেই দেশে চাকরি হারাচ্ছেন অনেকে, নিয়োগ প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছে, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে এবং প্রতিটি নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়ছে। এতে যুবসমাজের ভবিষ্যৎ গভীর সংকটে পড়েছে।
রাহুল বলেন, দেশের যুবকরা পরিশ্রম করে, স্বপ্ন দেখে, ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধু নিজের প্রচার নিয়েই ব্যস্ত। সরকারের নীতিতে শিল্পপতি ও ধনকুবেরদের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অথচ যুবকদের স্বপ্ন বারবার ভেঙে চূর্ণ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এবার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে। দেশের তরুণরা বুঝে গিয়েছে শুধু চাকরি পাওয়া নিয়েই লড়াই নয়, বরং ভোটচুরির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে। তার মতে, দেশপ্রেমের প্রকৃত অর্থ হলো বেকারত্ব ও ভোটচুরির জাঁতাকল থেকে দেশকে মুক্ত করা।
রাহুল তার পোস্টে দুটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটিতে দেখা যায় চাকরিপ্রার্থী যুবকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আরেকটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চারাগাছ পুঁতছেন, ময়ূরকে খাওয়াচ্ছেন ও যোগব্যায়াম করছেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন