ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ৮-৯ মিনিট পরপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দপ্তরের (ওসিএইচএ) বরাত দিয়ে সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ মন্তব্য করেন। এসব হামলা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনছে বলেও জানান জাতিসংঘের মুখপাত্র।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অন্তত ৩০ জন গাজা শহরের, যেখানে ইসরায়েল ১৬ সেপ্টেম্বর স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে হামলা আরও জোরদার করেছে।
গাজার আল-উয়াহদা সড়ক, শাতি শরণার্থী ক্যাম্প, নাসর এলাকা এবং পশ্চিমাংশের রিমাল আবাসিক এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়। রিমাল এলাকায় হামলা চালানো হয় কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই। আলজাজিরার সাংবাদিক ইব্রাহিম আল-খালিলি জানিয়েছেন, হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপে জীবিতদের খুঁজতে থাকে এবং চিকিৎসাকর্মীরা নিহতদের মরদেহ সরিয়ে নেয়।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বাইরে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, শুক্রবার বিতর্কিত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র থেকে সাহায্য নিতে গিয়ে আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতের এ ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়েই জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক বক্তৃতায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার কঠোর অবস্থানের কথা জানায়। এই সপ্তাহে যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, বক্তব্যে তাদের সমালোচনা করে নেতানিয়াহু। তবে তার বক্তব্য শুরুর আগেই গাজায় ইসরায়েলের পরিচালিত নৃশংসতার প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সভাকক্ষ ছেড়ে বের হয়ে যান। সাধারণ পরিষদের এ ভাষণে হামাসের বিরুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ করার’ ঘোষণা দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন