মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিবিসি বাংলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম

পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশি তরুণরা কেন জড়াচ্ছে?

বিবিসি বাংলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তি (টিটিপি)-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ছয় মাসে দুই বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যুর খবর এসেছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে টিটিপিতে সদস্য যোগদানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে।

গত শুক্রবার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী টিটিপির ১৭ সদস্যকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি তরুণ ফয়সাল, যিনি মাদারীপুরের বাসিন্দা। এর আগে এপ্রিলে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আহমেদ জুবায়ের বা যুবরাজ নামে আরেকজন বাংলাদেশি নিহত হন।

বাংলাদেশ পুলিশ গত জুলাইয়ে টিটিপির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সৌদি আরব ও দুবাই হয়ে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানে পৌঁছাতেন এবং সেখানে টিটিপির সঙ্গে যুক্ত হতেন।

মামলায় উল্লেখ আছে, তাদের মধ্যে একজন ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দারের নেতৃত্বে টিটিপির জন্য জনবল সংগ্রহ করতেন। তিনি সদস্যদের জিহাদে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

টিটিপি মূলত পাকিস্তানের পাঠান মাদ্রাসা ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের একটি জোট। ২০০৭ সালে ১৩টি সংগঠন মিলিত হয়ে টিটিপি গঠন করে। তারা পাকিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য রাখে। টিটিপি পাকিস্তানে মসজিদ, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সদস্য রিক্রুট করে।

বাংলাদেশের পুলিশ ও মানবাধিকার সংগঠকরা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে মুজাহিদ রিক্রুটমেন্টের ঘটনাও ঘটেছে। তবে বর্তমানে তাদের কার্যক্রম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে।

পুলিশের সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মাধ্যমে টিটিপির নেটওয়ার্কের আরও তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং আরও সন্দেহভাজনদের আটক করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের সদস্যরা প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে সৌদি আরব বা দুবাই হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পৌঁছায়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, আটক ব্যক্তিরা টিটিপির সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির কাজে সক্রিয় এবং ইসলামি খিলাফতের দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসে উদ্বুদ্ধ করতেন। পুলিশ ও কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

সংক্ষেপে, বাংলাদেশের তরুণরা বিভিন্নভাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। টিটিপি, আল-কায়েদা ও জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া-র মতো সংগঠনগুলোর জন্য তারা সক্রিয় হয়ে পড়ছে। পুলিশের নজরদারিতে থাকা এই নেটওয়ার্কের কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

Link copied!