আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মহাকাশে গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার তৈরি হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তিনি জানান, ক্রমাগত সৌরশক্তির প্রাপ্যতা মানে মহাকাশে এই সেন্টারগুলো অবশেষে পৃথিবীর উপর ভিত্তি করে থাকা ডেটা সেন্টারগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।
তুরিনে অনুষ্ঠিত ইতালিয়ান টেক সপ্তাহে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বক্তৃতা দিতে গিয়ে জেফ বেজোস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানকে ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইন্টারনেটের উত্থানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি সতর্ক সতর্কতা ও সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে আশাবাদের আহ্বান জানান।
মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ধারণা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীতে থাকা ডেটা সেন্টারগুলোর কারণে সার্ভার ঠান্ডা করার জন্য বিদ্যুৎ ও পানি চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।
ফেরারি ও স্টেলান্টিসের চেয়ারম্যান জন এলকানের সঙ্গে এক জনসাধারণের কথোপকথনে বেজোস বলেন, ‘এই বিশাল প্রশিক্ষণ ক্লাস্টারগুলো মহাকাশে আরও কার্যকরভাবে তৈরি করা যাবে। সেখানে ২৪/৭ সৌরশক্তি থাকবে, কোনো মেঘ বা বৃষ্টি বা আবহাওয়া বাধা দেবে না। আমরা আগামী কয়েক দশকের মধ্যে মহাকাশে স্থলজ ডেটা সেন্টারের খরচও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হব।’
বেজোস মহাকাশ অবকাঠামোতে স্থানান্তরকে পৃথিবীতে জীবন উন্নয়নের জন্য মহাকাশ ব্যবহারের অংশ হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ‘এটি ইতোমধ্যেই আবহাওয়া ও যোগাযোগ উপগ্রহে ঘটেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হলো ডেটা সেন্টার, তারপর অন্যান্য উৎপাদন প্রক্রিয়া।’
তবে মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এতে রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ ও আপগ্রেডের অসুবিধা, রকেট উৎক্ষেপণের উচ্চ খরচ এবং উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি।
এছাড়া, বেজোস এআই-এর প্রসারকে ২০০০ সালের ডট-কম যুগের ইন্টারনেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এআই-এর সামাজিক ও উপকারী প্রভাব ইতোমধ্যেই বিদ্যমান এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সম্ভাব্য বুদবুদ এবং তার বিস্ফোরিত পরিণতি যা বাস্তবতার সঙ্গে মিলে নাও যেতে পারে, সেগুলোর জন্যও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এআই-এর সুবিধাগুলো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।’
সূত্র: রয়টার্স