বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল ও হামাস, জানালেন ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় খুশিতে আত্মহারা ফিলিস্তিনিরা। ছবি- সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় খুশিতে আত্মহারা ফিলিস্তিনিরা। ছবি- সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংস্থা হামাস। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়েই আমাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে। খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে ইসরায়েলও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।’

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারও বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা (এ যুদ্ধের) মধ্যস্থতাকারীরা এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, আজ রাতে গাজায় শান্তি স্থাপনসংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের সব শর্ত ও বিধান বাস্তবায়নে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের জেরে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে, সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিরা মুক্তি পাবে এবং গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না। চুক্তির বিস্তারিত বিষয়গুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।’

গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার পাশে ছিলেন।

সেদিন ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং স্থায়ী শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার কপি ইসরায়েল, হামাস এবং যুদ্ধের অপর দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং হামাস ব্যতীত বাকি সবাই তার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে।

পরে ৩ অক্টোবর শুক্রবার হামাস সম্মতি জানানোর পরের দিন ৪ অক্টোবর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন ট্রাম্প। তারপর ৬ অক্টোবর মিসরের লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর শারম আল শেখ- এ ট্রাম্পের প্রস্তাবের ওপর বৈঠক শুরু হয় ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে।

সেই বৈঠকে দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলার পর ট্রাম্পের চুক্তির প্রাথমিক পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করল ইসরায়েল-হামাস।

বৈঠকের আলোচনা যে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে, তার আঁচ আগেই পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে বার্তা পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আমি যতদূর শুনেছি আলোচনা খুব ভালোর দিকে এগোচ্ছে। এটা চমৎকার। এ সপ্তাহের শেষের দিকে আমি মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারি। সম্ভবত রোববার আমি যাব।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!