শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

‘গাজার শান্তি’ উদযাপন করতে সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামীকাল রোববার মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প রোববার রাতে (আগামীকাল) মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। প্রথমে তিনি ইসরায়েলে যাবেন। সেখানে আগামী সোমবার ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। এরপর গাজা চুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মিসরে যাবেন তিনি। 

ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ওই অঞ্চলে শান্তির প্রতিনিধি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রকাশ্যেই তাঁর আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছিলেন। তবে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় ডানপন্থী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে পুরস্কারটি দিয়েছে।

হোয়াইট হাউস এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নরওয়ের নোবেল কমিটির বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউস অভিযোগ করেছে যে ‘তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে অগ্রাধিকার’ দিয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্প স্বাগতিক দেশগুলোর কাছ থেকে প্রশংসা পেতে পারেন। গাজায় যুদ্ধ থামানো ও ওই অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হতে পারে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, চুক্তিটির মধ্য দিয়ে গাজায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ট্রাম্পকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যেন জিম্মিরা মুক্তি পাওয়ার পরে আবার গাজায় বোমা হামলা শুরু না হয় তা নিশ্চিত করতে তাঁকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে হবে।

এই চুক্তি সম্ভব করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প বেশির ভাগ কৃতিত্ব দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি যুদ্ধে বিরতি টানার ক্ষেত্রে আরও কিছু কারণ আছে। গাজায় ইসরায়েলের দুই বছর ধরে চালানো নৃশংসতাকে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্ষোভের পরও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রমাগত সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পেয়ে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসন যে শুধু গাজায় ইসরায়েল আরোপিত খাদ্যসংকটের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নয়। তারা গাজায় বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা জিএইচএফ-এর কার্যক্রমকেও সমর্থন জানিয়েছে। এ সংস্থা থেকে ত্রাণ বিতরণের সময় গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক শ ত্রাণপ্রত্যাশী নিহত হয়েছে।

গত দুই বছর ধরে ট্রাম্পের পরিকল্পনামতো করেই গাজাবিষয়ক বিভিন্ন প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে উঠেছে। তবে নেতানিয়াহু যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।বিশ্বের অনেক দেশ এমনকি কিছু পশ্চিমা মিত্রও গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ও গত মাসে কাতারে হামলা নিয়ে ইসরায়েলের সমালোচনা করে আসছিল। আর এর মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো।

ট্রাম্প যখন মধ্যপ্রাচ্যে নিজের পরিকল্পনায় হওয়া ‘শান্তি’ উদ্‌যাপন করছেন, তখন অধিকারকর্মীরা বলছেন, গাজায় দখলদারত্ব শেষ করা এবং জাতিগত নিধনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা ছাড়া ওই অঞ্চলে সত্যিকারের শান্তি বা স্থিতিশীলতা আসবে না। থিঙ্কট্যাংক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির (সিআইপি) প্রধান ন্যানসি ওকাইল সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনাকে স্বাভাবিক করে দেখানো হলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মুখে পড়বে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!