লিবিয়ার সাগর তীর থেকে ২ দিনে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা ‘দ্য ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার’। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানী ত্রিপোলির পশ্চিমে উপকূলবর্তী এলাকা মেল্লিতাহ থেকে ৩ জনের এবং জুওয়ারা থেকে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরের দিন জুওয়ারা, আবু কাম্মাশ ও মেল্লিথার সাগরতীর থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ৪৬ জনের মরদেহ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি লিবিয়ার উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান। সেই নৌযানে ছিলেন কমপক্ষে ৭৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী, যাদের বেশির ভাগই সুদানের নাগরিক। সাগরপথে কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর নৌযানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে আর সেটির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত এই ব্যক্তিরা সেই নৌকাটির যাত্রী ছিলেন।
এক বিবৃতিতে দ্য ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার জানিয়েছে, উদ্ধার মৃতদেহগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে কবর দেওয়া হয়েছে, বাকি দেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
সমুদ্রপথে ইউরোপ গমনের জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি রুট লিবিয়া। জাতিসংঘের অভিবাসন ও অভিবাসী পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে রাজধানী ত্রিপোলিসহ লিবিয়ার ১০০ শহরে বসবাস করছেন ৪৫টি দেশের ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। নথিবিহীন এই লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশীর সবার লক্ষ্য একটাই- সমুদ্রপথে ইউরোপে গমন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন